সাধনকে নিয়ে বিস্ফোরক পরেশ : দল বহিষ্কার করলেই গঙ্গায় ডুব দেব

মন্ত্রী সাধন পান্ডে মুখ খোলার পরে এবার আরও এক বিস্ফোরক মন্তব্য। কার্যত বোমা ফাটালেন দলেরই বিধায়ক পরেশ পাল। লক্ষ্য সাধন পান্ডে। পরেশ এলাকার দু’একজন কাউন্সিলরকে পাশে বসিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেছেন, প্রত্যেককে অপমান করাই সাধন পান্ডের কাজ। এই পরিস্থিতিতে উনি যা বলেছেন, তাতে ওনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। ওনাকে যেদিন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে, সেদিন আমি গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান করব। পরেশ আরও এক কদম এগিয়ে বলেন, লকডাউন বলে এখন কিছু করতে পারছি না। শেষ হলে তৃণমূলকর্মীরা পথে নামবেন সাধন পান্ডের বিরুদ্ধে।

পরেশ উত্তেজিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, উনি অজিত পাঁজাকে মেরে ফেলেছেন! উত্তর কলকাতায় দলের প্রত্যেকের সঙ্গে ওনার সম্পর্ক দ্বন্দ্ব। ওনার জন্য কেউ কাজ করতে পারেন না। পরেশের অভিযোগ, রোজভ্যালি মামলায় ওনার মেয়ে অভিযুক্ত। তাকে বাঁচাতে ও বিজেপিকে খুশি করতে মাটিতে নেমে কাজ করা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন।

বিলো দ্য বেল্ট হিট করে পরেশ বলেন, কী রকম লোক ভাবুন, লোকটা একা হাঁটতে পারে না। চারজন লোককে সঙ্গে থাকতে হয়। সে কিনা করাত দিয়ে গাছ কাটছে। ফেসবুকে ছবি দিচ্ছে!

উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে সাধন-পরেশ দুই যুযুধান শিবির বলেই পরিচিত। কিন্তু বর্ষীয়ান সাধন পান্ডের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য পরেশ করলেন কোন রাজনৈতিক সাহসে? এই দায়িত্ব তো দল তাঁকে দেয়নি। তাহলে? রাজনৈতিক মহল মনে করছে পরেশের পিছনে আসলে পুরসভার কোনও বড় মাথার ইন্ধন আছে। পরেশ যে ভাষায় সাধন পান্ডেকে আক্রমণ করেছেন, তাতে দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকেও শোকজ করা উচিত, বলছেন দলেরই একাংশ। ঘটনা যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে সাধনকাণ্ড নিয়ে মুখ পুড়ছে তৃণমূলের, লাভ হচ্ছে বিজেপির। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কবে মধ্যস্থতা করে বিতর্ক মেটান, অপেক্ষা তারই।

Previous articleবিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে হাজিরার নোটিশ ধরালো পুলিশ! কিন্তু কেন?
Next articleগড়ফায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে কুপিয়ে খুন! অভিযুক্ত বাবা-মা-ভাই