রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব ধরনের ধর্মস্থানের দরজা খুলে দেওয়ার কথা জানালেও, এই মুহুর্তে মসজিদ বন্ধ থাকুক, এমনই চাইছেন রাজ্যের মুসলিম ধর্মগুরু ও একাধিক সংগঠন৷

বেঙ্গল ইমাম’স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া রবিবার “সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে” বলেছেন, “আমরা সমস্ত মসজিদ কমিটি এবং ইমামদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি, সরকারি লকডাউন ধর্মীয় ক্ষেত্রে ‘সামান্য’ একটু তুললেও আপাতত ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করুন৷ ৩-৪ জনকে নিয়ে যেমন জামাত হচ্ছে, তাই চালু রাখুন৷ আমাদের আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা জরুরি৷ পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা আবেদন করবো৷”

যৌথ এক আবেদনে বলা হয়েছে, “আমরা গত দু-মাস মসজিদে না গিয়ে বাড়িতেই এবাদত করেছি৷ এখনও আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, নিজের জন্য, পরিবারের, সমাজের, দেশের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য৷ প্রয়োজনে, আরও কিছুদিন ত্যাগ করা জরুরি৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, সরকার যেন, সমস্ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, হাইকোর্ট-সহ সব আদালত, লোকাল ট্রেন, মেট্রো রেল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি পুরোপুরি স্বাভাবিক করে চালু করার চেষ্টা করুক, যাতে আমাদের খাদ্য, চিকিৎসা,রোজগারের ন্যূনতম ব্যবস্থাগুলি চালু করা সম্ভব হয়৷”

রাজ্যের মুসলিম ধর্মগুরু ও একাধিক সংগঠনের স্পষ্ট বক্তব্য, ” ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি আরও কিছুদিন বন্ধ থাকলেও, খুব একটা অসুবিধা হবে না”৷
এই আবেদনে ইমাম’স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন:
বেঙ্গল ইমাম’স অ্যাসোসিয়েশনের এমিরেটস চেয়ারম্যান কারি ফজলুর রহমান, নাখোদা মসজিদের নাসের ইব্রাহিম, টিপু সুলতান মসজিদ কমিটির মহম্মদ আনোয়ার, শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা মেহের আব্বাস রিজভি, মেটিয়বুরুজের ইসরাইল মাদানি, মৌলানা শরাফত আবরার, মুফতি মেহদি হাসান, অল ইণ্ডিয়া মিল্লি উলেমা বোর্ডের মুফতি মুজাফফর৷
