সহ-উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিলেন রাজ্যপাল

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগকে ঘিরে ফের তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। কেন এবং কোন পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এই নিয়োগ করেছেন তার ব্যাখ্যা দিল রাজভবন। পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যের মন্ত্রীর এহেন অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক। এর আগেও তিনি আচার্য বা রাজ্যপালের কাজে রাজনীতির যোগ সূত্র বের করেছেন। এখন ফের সেই ধরনের মন্তব্য করছেন। যা বিতর্ক সৃষ্টি করছে।”

রাজ্যপাল সহ-উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ” রাজ্যপালের মনে রাখা উচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সরকার টাকা দেয়।” এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, “সংবিধান এবং সার্বভৌমত্ব পরিপন্থী মন্তব্য করছেন। এর মাধ্যমে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সবসময় তাঁর কথা মেনে চলতে হবে? এভাবে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা খুন করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য অনুসারে, সংবিধানের ১৫৮ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল এবং ৩২২ ধারা অনুযায়ী পাবলিক সার্ভিস কমিশন, হাইকোর্ট এবং বাকি যাদের রাজ্য সরকার টাকা দেয় তাদের রাজ্য সরকারের অধীনে থাকতে হবে। আমার ধারণা তিনি তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নেবেন। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।”

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই সেই সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের মতামত গ্রহণ করা হবে। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল।”

কোন পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তাও বিস্তারিত বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। উল্লেখ করা হয়েছে, “২০১১ সালে সংশোধিত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার আইনের ৯ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপ ধারায় বলা রয়েছে আচার্য উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন। চার বছরের জন্য এই নিয়োগ করা যাবে। সেই সময় পেরোলে পুনরায় নিয়োগ করার যোগ্যতা মান তৈরি হবে সংশ্লিষ্ট সহ-উপাচার্যের।”

Previous articleঘূর্ণিঝড় ত্রাণে ৪ কোটি টাকা সাহায্য করল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক
Next articleদিল্লিতে মনোজ অপসারণ, একদিনে তিন রাজ্য সভাপতি বদল গেরুয়া শিবিরের