জুনিয়র মৃধা হত্যারহস্য হাইকোর্টের নির্দেশে ফের খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে সিবিআই।
এবিষয়ে তদন্তে মোহনবাগানের এক সহসভাপতির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়াকে বার তিনেক জেরার পর আজ আবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। তাদের সূত্রে খবর, মহিলার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি আছে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, এই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জুনিয়র মৃধা নামে এক তরুণের। পরে তার দেহ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহ থেকে মেলে বুলেট। সিআইডি তদন্তে কাউকে দোষী চিহ্নিত করা না হলেও অনেক পরে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সাত/ আট বছর পরে কেস রিওপেনড হল। এখানে কোর্ট মোহনবাগানকর্তা ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার না করার রক্ষাকবচ দিলেও ওই আত্মীয়াকে তার বাইরে রেখেছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, এসপি সুদীপ রায়ের অধীনে তদন্ত চলছে। জেরা চলছে মহিলার। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও তাঁর বয়ানে ব্যাপক অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। তদন্তকারীরা যদি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
এদিকে জুনিয়র মৃধার পরিবারের বক্তব্য, হত্যা যখন হয়েছে, হত্যাকারীকেও খুঁজে বার করতে হবে। ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই জুনিয়রকে খুন করে দেহ রাস্তায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল বলে তাঁদের অভিযোগ। হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তকে নস্যাৎ করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বুধবার মোহনবাগানের এক সহ সভাপতির ওই আত্মীয়া আবার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হলে কী হয়, তা নিয়ে কৌতূহল চরমে।