শনিবার লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অনুষ্ঠিত ভারত ও চিনের সেনা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের ফল মিলেছে। এদিন মালডো এলাকায় লালফৌজের সেনাঘাঁটিতে আমন্ত্রিত ছিলেন ভারতীয় সেনা অফিসাররা। প্রায় চার ঘণ্টা চলেই বৈঠক। ভারতীয় সেনা অফিসারদের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। চিনের তরফে ছিলেন ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মেজর জেনারেল লিন লিউ।

বৈঠক শেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, “লাদাখের চলতি অচলাবস্থা নিয়ে এদিন দুই দেশের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক চলে কয়েক ঘণ্টা। বৈঠকে কিছুটা ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এদিনের বৈঠক ছিল দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপের অংশ। ঠিক হয়েছে, আগামী দিনে এই ইস্যুতে কূটনৈতিক অসামিরক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। বৈঠকে দুই দেশের সেনা প্রতিনিধিদের মধ্যে এদিন যা যা আলোচনা ও অগ্রগতি হয়েছে তা সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারভানে, সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে।”

জানা গিয়েছে, বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই এ বৈঠকের রিপোর্ট, লাদাখে সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

সূত্রের খবর, ভারতের তরফে দাবি পেশ করা হয়, চিনা সেনা এপ্রিল মাসে তাদের পুরনো অবস্থানে ফিরে যাক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ থেকে পিছু হটে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সেনা সরাক তারা। এর উত্তর দিয়েছে চিন। জানিয়েছে, ‘ভারত কারাকোরাম পাসের কাছে পাকা রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করলেই তারা সরে যাওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করবে। রাস্তা তৈরি বন্ধ না হলে তারা সরবে না।’ অর্থাৎ পুরনো অচলাবস্থাই এদিন বহাল রইল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আরও জানা গিয়েছে, ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের জু ওইলিং এবং জেনারেল ঝাও জোঙ্গকি এরপর পিপলস লিবারেশন আর্মির পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করবেন। তবে লাদাখে অচলাবস্থা দূর করতে এবং উত্তেজনা কমাতে এদিনের বৈঠক আদৌ কতটা কার্যকরী হয়েছে তা নিয়ে ভারত বা চিন কেউই মুখ খুলতে চায়নি।
