কেন্দ্রের টাকায় নির্বাচনী ফান্ড তৈরি করছে তৃণমূল! ফের বিস্ফোরক দিলীপ

ফের বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফের একবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। আজ, রবিবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমফান মোকাবিলায় বোঝা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত কলকাতার সবচেয়ে অসফল এবং অযোগ্য মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “মেয়র বলছেন সাত দিনের আগে জল বিদ্যুৎ চাইবেন না। মানে সাত দিন বেঁচে থাকুন, তারপর জল দেব।”

এখানেই শেষ নয়। সুর চড়িয়ে রাজ্য সরকারকে ভ্রষ্টাচারী, স্বৈরাচারী, অযোগ্য সরকার বলে ভৎসনা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, “এই রকম সরকার আগে এই রাজ্যে কেউ কখনও দেখেনি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষের ভোটে জিতে আসা তৃণমূলের ২১১ জন নেতার মধ্যে শুধুমাত্র দু-জনকে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রশাসক প্রধান ছাড়া আর কাউকেই দেখা গেল না।”

তবে এদিন সবচেয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যটি করেন দিলীপ ঘোষ। শাসক দলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের পাঠানো ত্রাণের টাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী ফান্ড তৈরি করছে।”

পুরসভায় ১০০ শতাংশ কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, লকডাউন ওঠার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাসের ভাড়া ঠিক হয়নি। বাস কতবার, কতদূর চলবে তা পর্যন্ত জানা যায় নি। অথচ ১০০% কর্মীকে নিয়ে পুরসভা চলবে। এটা কী করে সম্ভব! তিনি এই ব্যাপারেও সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, বাস দিতে পারছেন না যখন গাড়ি দিতে পারছেন না যখন, তাহলে একটা করে সবুজ সাথীর সাইকেল দিক রাজ্য। যাতে মানুষগুলো অন্তত সাইকেল চালিয়ে কাজে আসতে পারে। অথবা থাকার ব্যবস্থা করে দিক রাজ্য সরকার।

একইসঙ্গে বিজেপি সভাপতি ফিরহাদ হাকিমের গুজরাতের করোনা আক্রান্তের প্রসঙ্গ নিয়ে পাল্টা বলেন, গুজরাতের থেকে খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের। এখানে কোনও লকডাউনই মানা হয়নি। জনতা কারফিউ ঠিকঠাক পালন করা হয়নি। কিছুই বিধিনিষেধ মানা হয়নি।

Previous articleরাত পোহালেই রাজ্যে খুলে যাচ্ছে মল-রেস্তোরাঁ! আর কী খুলছে দেখুন
Next articleকঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই ফের পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ালো কেন্দ্র