খুলে গেল অফিস, শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ, আশঙ্কা নিয়েই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে শহর

রাজ্যে আজ, সোমবার থেকে খুলে গেল শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ, বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। দোকান, বাজার, ধর্মীয় উপসনালয় আগেই খুলেছিল।
এ বার বহু পর্যটন কেন্দ্রও খুলে গেল।
এবার রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন ভোজনরসিকরা। শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটাও করা যাবে। তবে সব ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। মুখে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক।
এমনকি কিছু স্কুলের তরফে প্রশাসনিক কাজের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে হাজির হতেও বলা হয়েছে।
৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস খুললেও সরকারি নির্দেশিকা মেনে দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, হঠাৎ কোনও সরকারি কর্মীর শরীর খারাপ লাগলে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। সরকারি দফতর স্যানিটাইজও করা হয়েছে । অফিসে ঢোকার মুখে থাকছে স্যানিটাইজার। একই সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি অফিসেও।
রাজ্য পরিবহন দফতরের নির্দেশে ক’দিন ধরে গণপরিবহণ চালু হলেও কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র রাস্তায় বেরোনো মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। আজ সকাল থেকে ভিড় আরও বেড়েছে । সরকারি ও বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও তা এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট নয়। ফলে সকাল থেকেই দুর্ভোগ বাড়ার সঙ্গে দূরত্ববিধি মেনে চলা লাটে উঠেছে। একই সঙ্গে রাস্তায় প্রচুর গাড়ি বের হতয়ায় আচমকা যানজটও তৈরি হয়েছে । ফলে যান সামলাতে পুলিশেরও নাকাল অবস্থা।
করোনায় সংক্রমিতের হার যখন নিত্যদিন বাড়ছে, তখন আরও বেশি করে কাজকর্ম শুরুর এই পরিস্থিতিতে ভয় নিয়েই রাস্তায় বেরিয়েছেন মানুষ।
যদিও এখনও বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ান এবং মেট্রো পরিষেবা। তবে এটুকু শিথিলতাই সংক্রমণের হার কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে না তো? এই আশঙ্কা নিয়েই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে শহর।

Previous articleরেস্তোরাঁ খোলার আগের রাতেই সল্টলেকের রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
Next articleলোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে হতে পারে যাত্রী-বিক্ষোভ, নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি পূর্ব রেলের