মোদি সরকারকে নকলি মহারাজ বলে কটাক্ষ অমিত মিত্রর

মোদি সরকারকে নকলি মহারাজ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বললেন, রাজ্য যা করছে, কেন্দ্র তা নকল করছে।

মঙ্গলবার অমিত শাহর ভাষণ শেষ হওয়ার পরেই পাল্টা যুক্তি -তথ্যে তোপ দাগা শুরু হয় তৃণমূলের পক্ষে। যথারীতি অর্থমন্ত্রী তথ্য দিয়ে নস্যাৎ করার ভঙ্গিতে বলেন, ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “স্বাস্থ্যসাথী” প্রকল্প নিয়ে আসেন। ৭.৫ কোটি পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। ৫ লক্ষ টাকার বিমা করা হয়েছে। ১৫১৮টি হাসপাতাল এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। বাংলার এই সাফল্যের প্রকল্প দেখে কেন্দ্র আনল “আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প”।

অমিত শাহ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অর্থমন্ত্রী দাবি করে বলেন, ১.৪৩ কোটি শৌচাগার হয়েছে। অমিত শাহ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। রেশন নিয়েও ভুল তথ্য। রাজ্যে ৪মাস ধরে ৪.০৯ কোটি মানুষ খাদ্যশস্য পাচ্ছেন। রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ও যোগানের হিসাব দিতে গিয়ে বলেন, ২০১১ সালে রাজ্যে বিদ্যুতে ৭৫ লক্ষ উপভোক্তা ছিলেন। এখন বিদ্যুতে ২ কোটি উপভোক্তা। ২০১১ সাল থেকে রাজ্য বিদ্যুতের জন্য ২৭৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে, যেখানে কেন্দ্র দিয়েছে ৫৮০০ কোটি টাকা।

এখানেই না থেমে করোনা পরিবর্তী সময়ে চাকরির হিসাব পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর হিসাব, উত্তরপ্রদেশে চাকরি নেই ৩৪% মানুষের, পশ্চিমবঙ্গে এই হিসাবটা ১৭%। পরিযায়ীদের নিয়ে দলের অন্য নেতাদের মতো অমিত মিত্রও ছিলেন কেন্দ্রের সমালোচনায়। অমিতের দাবি কেন্দ্র দিয়েছে শুধু খাবারের টাকা। বাকি টাকা কাকে দিয়েছেন, কোন ফান্ডে দিয়েছেন? ক্ষুদ্র শিল্পে টাকা দেয়নি কেন্দ্র, এ কথা জানিয়ে অমিত মিত্র বলেন, অবস্থা এমন যে টাকা ধার নিতে হবে ব্যবসায়ীদের। অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের নেতৃত্বের উপর আস্থা নেই কেন্দ্রের। দেশের অর্থনীতি লাইনচ্যুত। জিএসটি দিচ্ছে না। বৃটেনে যাদের চাকরি যাচ্ছে, তাদের প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা এখনও দেয়নি। এই সরকারের যাওয়ার সময় হয়েছে।

Previous articleমন্ত্রী হচ্ছেন মুকুল? দিলীপের উত্তর, “আমি মন্ত্রী নয়, কাউকে মন্ত্রিত্ব দিই না”
Next articleশহরে জল জমা রুখতে বর্ষার আগে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার