পেটে খিদের জ্বালা, পকেটে কড়ি নেই ? আপনার জন্য শ্রমজীবী ক্যান্টিন খুলেছে বামেরা!

লকডাউন পরবর্তী সময়ে খাদ্য সমস্যায় আছেন?
পেটে খিদের জ্বালা, অথচ পকেটে কড়ি নেই ? বাজার করার মতো পয়সা নেই কিংবা আধপেটা খেয়ে আছেন? ভুলে যান দুঃখ। ভুলে যান কষ্ট। এখন থেকে কার্যত “নিখরচায়” আপনার পেট ভরবে। একদিন-দুদিন নয়, সারা বছর। ৩৬৫ দিন।

আপনার কষ্টের কথা ভাবে খুলে গিয়েছে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’। বেরোজগার, গরিব, অসহায় মানুষের পেটে পুরে খাবার দিচ্ছে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’। যাদবপুর-নেতাজি নগর অঞ্চলে বিশেষ উদ্যোগ সিপিএম তথা বাম কর্মী-সমর্থকদের। বলা ভালো, শ্রমজীবী মানুষের জন্য বামেদের মানবিক উদ্যোগ। বামেদের এই মডেল এবার কলকাতা-সহ সারা বাংলাতেই ছড়িয়ে পড়বে বলে দাবি স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের।

কী এই ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’?

স্থানীয় সিপিএম নেতা সুদীপ সেনগুপ্ত এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদকে ব্যাখ্যা করলেন শ্রমজীবী ক্যান্টিন-এর প্রেক্ষাপট। তাঁর কথায়, “৩৬৫ দিন একবেলার পেট ভরে খাবার ২০টাকায় দিচ্ছি আমরা। মূলত, যারা অর্থসংকটে আছেন তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা। এটা প্রচার সর্বস্ব কোনও সামরিক উদ্যোগ নয়। সারা বছর ধরে আমরা এই ক্যান্টিন চালাবো। যেখানে বাজার করা থেকে রান্না করা কিংবা পরিবেশন করা, পুরোটাই সামলাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। দিনরাত এক করে খাটছে বাম কর্মী সমর্থকরা। যাতে এলাকার কোনও মানুষ অভুক্ত না থাকে।

যাদবপুর অঞ্চলের নবনগর শক্তিগড় মাঠের পাশে এই শ্রমজীবী ক্যান্টিন। সকাল ১১ টার মধ্যে এসে ২০ টাকার বিনিময়ে আপনাকে কুপন সংগ্রহ করতে হবে। যারা সেই কুড়ি টাকাও দিতে পারবেন না, তাদেরকে নিখরচায় খাবার তুলে দেওয়া হবে।

মেনুতে কী থাকছে?

যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনে এলে একদম প্যাকেট করে ভাত-ডাল-আলু ভাজা তো পাবেনই, এর সঙ্গে রুচি পরিবর্তনের জন্য কোনওদিন মাছ, কোনওদিন মাংস, কোনওদিন ডিম কিংবা সোয়াবিন থাকবে।

শ্রমজীবী ক্যান্টিনের প্রেক্ষাপট:

করোনা মোকাবিলায় লক ডাউনের সময় টানা ৬২দিন গড়ে ৬৫০জন করে অসহায় অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে সিপিএম যাদবপুর এরিয়া কমিটি। তাদের কমিউনিটি কিসের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন তা চলছে। সেই কমিউনিটি কিচেনের বর্ধিত রূপ হিসাবে সারা বছরের জন্য চালু করা হলো শ্রমজীবী কান্টিন।

লকডাউনে শুধু মানুষের মুখে রান্না করে খাবার তুলে দেওয়া নয়। বিনামূল্যের সবজির বাজারে দিয়েছিল যাদবপুর সিপিএম এরিয়া কমিটি। এবার নতুন এই উদ্যোগ শ্রমজীবী ক্যান্টিনের আরও অগ্রগতি হবে বলেই আশা তাঁদের।

উল্লেখ্য, যাদবপুরের নবনগরে গত রবিবার ওই ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, যাদবপুরের বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, সুদীপ সেনগুপ্ত প্রমুখ।

 

Previous articleদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যাদবপুর, কলকাতা, সেরা আইআইএসসি, জেএনইউ
Next articleআকাশে আলোর রোশনাই, বিদ্যুৎ আছড়ে পড়ল বিমানে