Breaking: বৌবাজার বিস্ফোরণের সেই রশিদ খান কী বলছেন?

রশিদ খান।
বৌবাজার বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত।
28 বছর ধরে জেলবন্দি।
আপাতত এই করোনাআবহে অসুস্থতা ও বয়সের কারণে তিন মাসের প্যারোলে বাড়িতে।
বয়স এখন বাহাত্তর।
বাড়িতে বসেই সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি সাংবাদিক উজ্জ্বল দত্ত। সুখবর পত্রিকার তরফে কথা বলেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, 1993 সালের 16 মার্চ ভোররাতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে লালবাজারের নাকের ডগায় গোটা বাড়ি উড়ে যায়। মৃতের সংখ্যা 69, আহত বহু। রশিদ ধরা পড়েন। অভিযোগ তিনিই অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখতেন। রশিদবান্ধব হিসেবে একাধিক সিপিএম নেতানেত্রীর নাম জড়ায়। পার্টি তদন্ত করে শাস্তি দিলেও পুলিশি ব্যবস্থা হয়নি। আইনি শাস্তি হয় রশিদ খানসহ কয়েকজনের। টাডা আদালত যাবজ্জীবনের রায় দেয়। খালিদ, মুর্তাজা, আজিজদের বন্দিজীবন চলছে। শুধু 25 বছর পর ছাড়া পেয়েছে পান্না জয়সওয়াল। রশিদ ছাড়া পাননি। দীর্ঘকাল ছিলেন আলিপুর জেলে। এখন প্রেসিডেন্সিতে।

সেই বাড়ির ধ্বংসস্তুপ এখন অতীত। সেখানে হোটেল, বহুতল। রশিদসাম্রাজ্য শেষ। তারই পাশে চারতলার ঘরে বসে রশিদ বলেছেন:

1) আমি জুয়া, সাট্টার কারবার করতাম। কিন্তু বিস্ফোরকের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমার নামে আগে এধরণের কোনো মামলাও ছিল না। অথচ পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেলো !

2) আমি সমাজবিরোধী ছিলাম না। আমার রিভলবারের দুটি লাইসেন্স ছিল। আমি ক্রিমিনাল হলে পুলিশ লাইসেন্স দিত কি? কোনো সমাজবিরোধীকে পুলিশ গান লাইসেন্স দেয়?

3) আমি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার। লোকমুখেই তো আগে শাস্তি হয়ে গেল!

4) 2012 থেকে আমি 12 বার প্যারোলে 203 দিন বাড়িতে থাকতে পেরেছি। এবারও প্যারোলে আছি।

5) বয়স হয়েছে 72। সুগার, প্রস্টেট, নার্ভের সমস্যা। দিনে ছবার ওষুধ খেতে হয়। জেলে সেভাবে চিকিৎসা সম্ভব হয় না।

6) জেলেই লেখাপড়া করেছি। ছবি আঁকা শিখেছি। আমার জেলরিপোর্ট ভালো। কিন্তু কেউ মুক্তির পদক্ষেপ নেয়নি। প্যারোল শেষ হলে আবার জেলে ফিরতে হবে। মনে হচ্ছে জেলের গারদের মধ্যেই মারা যাব।

উজ্জ্বল দত্তর নেওয়া রশিদের সাক্ষাৎকারটি সুখবর পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত।

ছবিটি রশিদের এখনকার ছবি। স্ত্রীর সঙ্গে।

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleএবার ব্রিটেনকেও পিছনে ফেলে করোনা মানচিত্রে চতুর্থ ভারত!