নেপালের স্পর্ধা! উত্তরাখণ্ডের তিনটি জায়গা ঢুকিয়ে নিল দেশের মানচিত্রে!

স্পর্ধা দেখাচ্ছে এবার নেপালও। হিমালয়ের দেশ নেপাল নতুন মানচিত্র দেশের সংসদে পাশ করে নিয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো সেই মানচিত্রে লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানি ঢুকেছে নেপালে, যে এলাকা ভারতের। চিনের মদতেই নেপালের এই বাড়-বাড়ন্ত বলে মনে করছে ভারতের বিদেশ দফতর।

ভারত-নেপালের চাপানউতোর চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছল শনিবার। নেপালের মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের তিনটি জায়গা ঢোকানো হয়েছে। তড়িঘড়ি করেই নেপাল সরকার তাদের সংসদের উচ্চ এবং নিম্নকক্ষ দু’জায়গাতেই এই মানচিত্র পাশ করে নিয়েছে। মানচিত্র পাশ করার সময় সরকার এবং বিরোধী দল সকলেই সর্বসম্মতিক্রমে তাদের মত দিয়েছে নেপালী সংসদে। বিদেশমন্ত্রক সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, এ ধরণের কোনও অন্যায় দাবি ভারত মানছে না। নতুন ম্যাপ মেনে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। গত মে মাসে বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ্যে আসে। নেপাল তখনও সংসদে পাশ করায়নি মানচিত্র। শনিবার সেই মানচিত্র পাশ করিয়ে নেওয়া হয়।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৮’মের পর। ওইদিন কৈলাস-মানস সরোবরের সংযোগকারী রাস্তার উদ্বোধন করে ভারত। এই রাস্তা কৈলাস মানস সরোবর যাওয়ার লিঙ্ক রোড। তাওয়াঘাট থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তা। লিঙ্ক রোড নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল নেপালের। যদিও ভারত জানিয়ে দিয়েছিল, এই রাস্তা ভারতের এলাকার মধ্যেই করা হচ্ছে। পাশাপাশি কালাপানি নিয়েও ভারত-নেপালের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিতর্ক। যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৫০ সালে ভারত নেপাল চুক্তির সময় এ নিয়ে কোনওরকমের বিতর্ক ছিল না। তারপরও বহুবার ভারত-নেপাল বৈঠক এবং চুক্তি হয়েছে। একবারও এই প্রশ্ন ওঠেনি। চিনের মদতে এবং পরিকল্পনায় এই কাজ করছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি চিনপন্থী। আর কোভিডে বিধ্বস্ত চিন আশপাশের সব ক’টি দেশকে বিব্রত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নেপালকে তারা এইভাবেই কব্জা করে কাজে লাগাচ্ছে।

Previous article১০০দিনের কাজের কর্মী তালিকা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ, আক্রান্ত ৩
Next articleজল্পনা জিইয়ে রেখেই কলকাতা ফিরলেন মুকুল