শহিদ কর্নেল অনুপ্রবেশকারী চিনা সেনার তাঁবু সরাতেই সংঘর্ষ শুরু গালওয়ানে

চার দশক পর আবার কেন রক্তাক্ত হল লাদাখ উপত্যকা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে বহু প্রাক্তন সেনাকর্মী বলছেন, লালফৌজের চোখে চোখ রেখে তাদের বেয়াদপির বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিবাদ, বেআইনি কাজ হাতেনাতে ধরে ফেলা এসব সহ্য করতে পারেনি চিন। তাই ব্যাকফুটে পড়ে পালটা পেশিশক্তি জাহির করতে গিয়ে এই সংঘর্ষ বাধিয়েছে। ৬ জুন দুই দেশের সামরিক বৈঠকের পর চিনা সেনার ভারতের জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতেই শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষবাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোন ভারতীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কর্নেলের সঙ্গে ছিলেন প্রায় ১০০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনারা গালওয়ান উপত্যকায় গিয়ে দেখেন তখনও সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। অথচ অাগেই তাদের সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেজন্য চিনা সেনাদের তাঁবু থেকে বের করে দিয়ে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। তখনই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, উপত্যকায় পড়ে থাকা পাথর, কাঁটাতার জড়ানো বাটাম নিয়ে আরও চিনা সেনা জড়ো হয় গালওয়ান এলাকায়। তারা আচমকা ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালায়। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও তুমুল সংঘর্ষ। ঘণ্টা ছয়েক ধরে চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ যায় দুপক্ষের সেনারই। এছাড়া গালওয়ান নদীতে পড়েও মৃত্যু হয় অনেক জওয়ানের।

Previous articleত্রাণে দুর্নীতি হলে পুলিশে জানান, পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleবড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর: করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও বিশেষ ভাতা