রথযাত্রা বন্ধের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার থেকে ২ দিন ওড়িশায় বনধ ডাকল দুটি সংগঠন । এই সংগঠন গুলির সঙ্গে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা সরাসরি যুক্ত আছেন বলে জানা গিয়েছে।
আসলে অনিশ্চয়তা ছিল আগেই। করোনা আবহে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এবার অন্য বারের মতো রথযাত্রার আয়োজন করা যাবে না। মুখ্য বিচারপতি শুনানি চলাকালীন বলেন, “এই পরিস্থিতিতে রথযাত্রা হলে জগন্নাথই আমাদের ক্ষমা করবেন না।”
এ বছর ২৩ জুন রথযাত্রার তিথি। রথযাত্রা হবে কি হবে না তা নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বিগ্ন ছিল ওড়িশা প্রশাসন। ওদিকে মন্দির কর্তৃপক্ষও রথ বানানোর প্রক্রিয়া সারতে থাকে দ্রুত গতিতে।
এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ক্ষোভে ফুঁসছে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা। রীতিমতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে তারা। এই স্থগিতাদেশের জন্য নবীন পট্টনায়কের সরকারকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তারা।
এ বছর ২৩ জুন রথযাত্রার দিন নির্ধারিত। আজ, শুক্রবার শ্রী মন্দিরের প্রধান সেবায়েত পুরীর গজপতি মহারাজের পুরীর শঙ্করাচার্যের দ্বারস্থ হওয়ার কথা।
রথ বাতিল হওয়ার ক্ষোভে মন্দিরের কোনও কোনও সেবায়েত সামাজিক মাধ্যমে এ-ও বলেছেন, নবীন প্রশাসন ইচ্ছে করে রথযাত্রা বন্ধের শরিক। ওড়িশার বিরোধী শিবিরও বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ।