বিশ্বভারতী’র অবনমনের দায় কর্মীদের একাংশের, জানালেন উপাচার্য

NIRF তালিকার বিশ্বভারতী ৫০ নম্বরে৷

দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অনেকটাই তলায় বিশ্বভারতী। আর এই অবনমনের জন্য কর্মীদের
একাংশকেই দুষলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷ তাঁর অভিযোগ, “কর্মীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়কে অপব্যবহার করছে আর রবীন্দ্রনাথের চেতনার অবক্ষয় ঘটাচ্ছে৷ সে কারনেই ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে বিশ্বভারতী।” কড়া ভাষায় উপাচার্য বলেছেন, “এলাকার সকলের কাছে সোনার ডিম পাড়া হাঁস এই বিশ্বভারতী। পড়ুয়া, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, টোটো চালক, সাংবাদিক, সবার কাছে রুটি-রুজি এই বিশ্বভারতী। এই হাঁসকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দিয়ে সকলে বরং এর পরিচর্যা করুন।”

দিনকয়েক আগে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের NIRF, দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, তালিকার উপরের দিকে থাকলেও ওই তালিকার ৫০তম স্থানে আছে বিশ্বভারতী। উপাচার্যের দাবি, “২০১৬ সালে থেকে ক্রমশ তলার দিকে যাচ্ছে বিশ্বভারতী ৷ প্রতিবারই কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য-ব্যর্থতা সবার ওপর বর্তায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠনের গুণমান ও ঐতিহ্য ধরে রাখার দায় সকলের।” উপাচার্য বলেছেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেমে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। কড়া নিয়মানুবর্তিতা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ফিরেছে।”

Previous articleবাংলায় মহামারি আক্রান্ত ১৪ হাজার ছুঁইছুঁই! মৃত্যু বেড়ে ৫৫৫
Next articleবিপন্নদের জন্য সিপিএমের বিনামূল্যে সব্জিশিবির