গরিব কল্যাণ রোজগার প্রকল্পে প্রত্যেক দিন মিলবে ২০২ টাকা, জানেন কী করতে হবে?

করোনার জেরে লকডাউনে সারা দেশের মানুষ গৃহবন্দি ।পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশাও বেআব্রু হয়ে পড়েছে । বাস ও ট্রেন পথের পাশাপাশি পায়ে হেঁটেও তাঁরা বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাড়ি ফিরেও কার্যত বেকার তাঁরা। এই সংকট থেকে তাঁদের মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান শুরু করেছেন।
এই প্রকল্পে শ্রমিকরা সারা বছরে সর্বোচ্চ ১২৫ দিন কাজ পাবেন।
তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরেছেন, তাঁদের অবিলম্বে কাজ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের দিয়ে এমন কাজ করানো হবে, যাতে স্থায়ী জিনিস তৈরি হয়। মানুষের কাজে লাগে। যেমন রাস্তা, বাড়ি, বা সরকারি কোনও স্থায়ী সম্পত্তি।
প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
পরিযায়ীদের সাহায্য করতে সারা দেশের ৬ টি রাজ্যের ১১৬ টি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ১২৫ দিনের কাজ দেওয়া হবে। ছটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা। লকডাউনে এই ১১৬ টি জেলার সবকটিতেই ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ীরা এসেছেন।
জেলাশাসকদের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকার ভিত্তিতেই মিলবে কাজ।
শ্রমিকরা প্রত্যেক দিন পাবেন ২০২ টাকা করে। জানানো হয়েছে, প্রতিদিনের মজুরি দিতে এমএনআরইজিএ মজুরিকে অনুসরণ করা হবে।
পরিযায়ীদের জন্য ২৫ টি বিভিন্ন রকমের কাজ বাছাই করা হয়েছে এই প্রকল্পে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে গ্যাস পাইপলাইনের কাজ, তেমনই রয়েছে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্ক। যার থেকে চাকরির সুযোগ যেমন তৈরি হবে, ঠিক তেমনই গ্রামীণ ভারতে পরিকাঠামোও তৈরি হবে।
গ্রামের রাস্তা, বাড়ি, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, রেলের কাজ, সোলার পাম্পসেট, ফাইবার অপটিক কেবল বসানোর মতো কাজও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একসঙ্গে কাজ করবে মোট ১২ টি মন্ত্রক। এর ফলে দেশে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার অর্থিক উন্নতি সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।

Previous articleভারত-চিন দ্বন্দ্ব: বাহিনীকে অস্ত্র কেনার ছাড়পত্র দিল দিল্লি
Next article “যা হয়েছি বাবার জন্য, হ্যাঁ আমি প্রিভিলেজড” বিতর্ক উস্কে সোনামের বার্তা