রাজ্যের সবুজ সঙ্কেত পেলেই জুলাই থেকে ফের গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা

আনলক -১ চলছে। ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক করা যায় সে দিকেই হাঁটছে রাজ্য সরকার। সরকারি বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। বাস ট্রাম চলাচলের ওপরেও বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও চালু হয়নি লোকাল ট্রেন পরিষেবা। অথচ কলকাতার সঙ্গে শহরতলীর মানুষের মূল যোগাযোগের মাধ্যম হল হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন। কিন্তু লোকাল ট্রেন এখনও চালু না হওয়ায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন শহরতলীর যাত্রীরা। কর্মস্থলে আসার জন্য দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। যা আর্থিক চাপেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জুলাই মাস থেকেই শুরু হতে পারে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
রেল বোর্ড সূত্রেজানা গিয়েছে, লোকাল ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্র প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বললেই ট্রেন চলাচল শুরু করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে।
শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন ট্রেনে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি দিন প্রায় ৫০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। হাওড়াতে ওই সংখ্যা ৩০ লক্ষের কাছাকাছি।তবে লোকাল ট্রেন চালু হলে থাকবে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা । রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কামরায় ভিড় এড়াতে বেশি যাত্রী হয় এমন স্টেশনগুলি থেকে বিশেষ গ্যালোপিং ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।
ভিড় এড়াতে স্টেশনগুলিকে সম্পূর্ণ হকারমুক্ত করা হচ্ছে । প্রত্যেক স্টেশনে টিকিট কাউন্টার ছাড়াও ঢোকা এবং বেরোনোর পথগুলিকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দূরত্ব বিধি মেনে টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের দাঁড়াতে হবে। স্টেশনে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। কোনও যাত্রীর করোনা-উপসর্গ চোখে পড়লে তাঁকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরাকেও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা ।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleবাংলায় ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার দেওয়ার লক্ষ্যেই আজ এই যৌথ আলোচনা, মন্তব্য প্রদীপ ভট্টাচার্যের