চিনের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের প্রশ্নে মোদির বিপক্ষে মত ৬০ শতাংশের!

লাদাখে চিনের আগ্রাসনে ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন । তাঁদের প্রাণ নেওয়ার বদলা নিতে হবে ভারতকে। গোটা দেশ যখন এই দাবিতে সরব তখন সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল শহিদ জওয়ানদের প্রতি কেন্দ্র কি সঠিক বিচার করেছে। চিনের বিরুদ্ধে কী আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল? তাতে প্রায় ৬০ শতাংশ দেশবাসীই জানিয়েছেন, কেন্দ্র চিনের বিরুদ্ধে তেমন কড়া পদক্ষেপ নেয়নি । আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ছিল মোদি সরকারের ।
যদিও দেশের সুরক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে পথে চলছেন তাতে আস্থা রয়েছে দেশবাসীর। চিনের আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে করা সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রায় ৭৩ শতাংশ দেশবাসী মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সুরক্ষিত রয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করছেন তাতে তাঁদের ভরসা রয়েছে।

এই সমীক্ষা থেকেই উঠে এসেছে যে এখনও মোদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। বিরোধীদের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতে সরকার স্থায়ী এবং গঠনশীল বলে মনে করেন দেশের ৭৩.৬ শতাংশ মানুষ।
গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ভারতের কোনও ভূখণ্ড বা কোনও পোস্ট বেদখল হয়নি।’’ মোদির এই মন্তব্যের পরেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, চিন যদি ভারতীয় ভূখণ্ড বা পোস্ট দখল না-ই করে থাকে, তাহলে সংঘর্ষ কেন হল? তাঁদের বক্তব্য ছিল, উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট যে চিন ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেছে। তা হলে কি প্রধানমন্ত্রী ধরেই নিচ্ছেন গালওয়ান উপত্যকার ওই বিতর্কিত ভূখণ্ড চিনের?
চিন সবসময়ই বেআইনি ভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেকের মতো ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়ে বারবার। এই বিষয়ে মোদির মন্তব্য, ‘‘এই হুমকি ও আগ্রাসনের কাছে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের সমঝোতা করতে পারি না।’’

Previous articleকরোনা আতঙ্ক, ফের বন্ধ হয়ে গেল তারকেশ্বরের মন্দির
Next articleএবার একদিনে ১৭ হাজার করোনায় আক্রান্তের রেকর্ড গড়লো ভারত, মৃত্যু ছাড়ালো ১৫ হাজার!