কং জমানাতেই ভারতের ৪৫ হাজার বর্গ কিমি দখল করে চিন, সোনিয়াদের ধুয়ে দিলেন পাওয়ার !

চিন ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর মুখে ঝামা ঘষে দিলেন কংগ্রেসেরই শরিক দলের নেতা শারদ পাওয়ার। কড়া মন্তব্যে বুঝিয়ে দিলেন, লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের মত ইস্যু নিয়েও মোদি-বিরোধী যে সস্তা রাজনীতি করতে নেমেছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা, তা কাম্য নয়। চিনের ইস্যুকে যেভাবে কেন্দ্র-বিরোধী রাজনীতির হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস, তার তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেসের শরিক দল এনসিপির সুপ্রিমো বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।

গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে চিন ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে মরিয়া। চিনের বজ্জাতির সমালোচনা না করে মোদি বিরোধী আক্রমণে মন দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মোদি চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলেই ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে চিন। এমনকী বেজিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করতে অতীতে মোদি যে প্রচেষ্টা করেছিলেন তাকেও কটাক্ষ করেছেন রাহুল। আর এবার রাহুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জবাব এল কংগ্রেসেরই শরিক নেতা শারদ পাওয়ারের কাছ থেকে। কংগ্রেসের বন্ধু দল এনসিপির প্রধান রাহুলকে মনে করালেন, জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যু অতি স্পর্শকাতর বিষয়। এসব নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। এমনকী কংগ্রেসের অবস্থানকে পুরোপুরি খারিজ করে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন পাওয়ার। বলেছেন, লাদাখের বিষয়টি চরিত্রগতভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর, এটাকে সরকারের ব্যর্থতা বলা যায় না। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে তার অতীত ইতিহাস মনে করিয়ে দিতেও ছাড়েননি প্রবীণ বিরোধী নেতা। পাওয়ার বলেন, কেউ ভুলে যায়নি ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর চিন ৪৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার ভারত ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছিল। সেই জমি আজও চিনের দখলে। কংগ্রেসকে পাওয়ারের মোক্ষম খোঁচা, আমি যখন এখন কোনও অভিযোগ তুলব তখন যেন ভুলে না যাই আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন কী করেছি। স্পষ্টতই তাঁর ইঙ্গিত ১৯৬২-র কংগ্রেস জমানার দিকে। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা শরিক দলের নেতা পাওয়ারের এই কটাক্ষ কংগ্রেস কীভাবে হজম করে তাই এখন দেখার।

Previous articleআমফান বিধ্বস্ত এলাকায় দুর্গতদের সাহায্য করতে পৌঁছলো BHS’95
Next articleমহামারির ধাক্কায় রাজনৈতিক কর্মসূচির ঠিকানা এখন রেড রোড