সভায় কেন বহিষ্কৃত নেতা? ক্ষুব্ধ তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা নেতৃত্ব

বহিষ্কৃত নেতা নূর আলম হোসেন বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে প্রধান-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে সাংগঠনিক সভা করার প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূলের মহকুমা কার্যালয় অলোক নন্দী ভবনে আলম বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাকর্মীদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের মেন্টর সুবল রায়, তৃণমূলের সিতাই বিধানসভা কমিটির ডেপুটি কনভেনার প্রসন্ন দেব শর্মা, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী জেলা পরিষদের সদস্য প্রতিমা সরকার-সহ নেতা-কর্মীরা।

সভায় সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ছাড়াও ধর্ষণকাণ্ডে দলের দিনহাটা এক ব্লকের বহিষ্কৃত নেতা বিভিন্ন সভা-সমিতিতে যোগদান করার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব সরব হন। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও তাঁরা অভিযোগ তোলেন।
দিনহাটায় প্রাথমিক শিক্ষিকা ধর্ষণকাণ্ডে তৃণমূল নেতা নূর আলম হোসেনকে দল বহিষ্কার করে। দিন কয়েক আগে জামিন পেতেই তিনি দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বলেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। এদিন বৈঠক শেষে সিতাই বিধানসভা কার্যকরী কমিটির ডেপুটি কনভেনার প্রসন্ন দেব শর্মা বলেন, ধর্ষণকাণ্ডে জেলা পরিষদের সদস্য দলের কার্যকরী কমিটির আহ্বায়ক নূর হোসেনকে বহিষ্কার করেছে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। তার পরেও ওই নেতা বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এর ফলে দল নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও নেতৃত্ব অভিযোগ আনেন। নূর হোসেন যাতে কোন ভাবেই দলের কোনও কর্মসূচিতে অংশ না নেন তার জন্য ব্লক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হচ্ছে।

Previous articleঅ্যাপ নিষিদ্ধ করার ‘বদলা’ নেওয়ার পথে চিন
Next articleদিনের শুরুতেই কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ