পৌষমেলা করতে অপারগ, বসন্ত উৎসবও না করার সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর

করোনা আবহে বাতিল হচ্ছে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান। সেই তালিকায় যোগ হল শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসবের নামও। তবে এই অনুষ্ঠান বাতিলের কারণ শুধু করোনা নয়, গত বছরের পৌষমেলা পালন এবং তা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর। শুক্রবার, শান্তিনিকেতনে রথীন্দ্র অতিথি নিবাসে বিশ্বভারতীর কর্ম সমিতির বৈঠক বসে। সেখানে পৌষমেলা নিয়ে সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবার পৌষমেলার আয়োজন করবে না বিশ্বভারতী। পরে বিশ্বভারতী জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানান, এবছর পৌষ মেলা শুধু নয় আগামী বছর বসন্ত উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী।

২০১৯ সালের পৌষমেলা তোলা নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরোধ বাধে। এমনকী উপাচার্য-সহ পাঁচ বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা ও হয়। যে মামলায় ইতিমধ্যেই দুজন আধিকারিককে ডেকে দফায় দফায় দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। বিশ্বভারতীর যুক্তি, আদালতের নির্দেশে চারদিনের পৌষ মেলা তুলতে গিয়ে মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত হতে হয়েছে উপাচার্য-সহ অন্যান্যদের। এই কারণে মেলা করবে না তারা। তবে  ৭ থেকে ৯ পৌষ উপাসনা, পরলোকগত আশ্রমিকদের স্মরণ, মহর্ষি স্মারক বক্তৃতা, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, সমাবর্তন এবং খ্রিষ্টোৎসবের মতো অনুষ্ঠানগুলি হবে।
একই সঙ্গে বিশ্বভারতী আয়োজিত বসন্ত উৎসব ও দোলের দিন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্ম সমিতি। এবছর ও দোলের দিন বসন্ত উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। পরে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসায় সমস্যা সমাধান হয়। কিন্ত এদিন সিদ্ধান্ত হয় যে ২০১২ মার্চ মাসে দোলের দিন বসন্ত উৎসব করবে না বিশ্বভারতী।
এবিষয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, “আমরা পৌষ মেলা করতে অপারক। কারন সুষঠ ভাবে পৌষ মেলা করতে গিয়ে যেভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সহ আধিকারিক দের মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাতে আজ কর্ম সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌষমেলা করতে অপারক বিশ্বভারতী। একই সঙ্গে দোলের দিন বসন্ত উৎসবও করবে না বিশ্বভারতী। প্রয়োজনে একান্ত ঘরোয়া ভাবে বসন্ত উৎসব পালন হবে অন্যদিনে।

Previous articleভার্চুয়াল মেগা বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিলেন, কোনও ঘটনাই তাঁর চোখ এড়ায় না
Next articleবিধ্বস্ত বাংলার পাশে দাঁড়াতে প্রবাসীদের উদ্যোগে শুরু ‘HOPE 2020’