‘টেকনিক্যাল চুরি’: সোনারপুর থেকে গ্রেফতার গ্যাং

‘টেকনিক্যাল চুরি’ । ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসছে ছুরি,কাঁচি, হাতুড়ি সব জিনিসপত্র। এই ভাবেই বেশ চালাচ্ছিল জনা ৬-র দল। লকডাউন এর বাজারে চুরি করতে অনেকটা অসুবিধা হচ্ছিল চোরদের। রাতের বেলায় রাস্তায় কেউ জিজ্ঞাসা করলেই উত্তর দেওয়াটা বড় অসুবিধার হয়ে গিয়েছিল ওদের। যে কারণে ধরা পড়ে গেল চোরের দল।
লকডাউন ওঠার পরে চুরির সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়তে থাকে। ‘মহাবিদ্যা’- কে ঢাকতে বহু চেষ্টা করেছিল গ্যাং। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সোনারপুর থানা এলাকায় পরপর চুরির কিনারা করে ফেলল পুলিশ। ধরে ফেলল পাঁচজনকে। চুরি যাওয়া বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে।   চোরেদের বয়স আঠারো থেকে পঁচিশ। প্রত্যেকে হেরোইন ,ব্রাউন সুগার এর মত ভয়ঙ্কর মাদকের নেশা করে। এক একজনের প্রতিদিনের এই নেশার খরচ আটশ  থেকে এক হাজার টাকা লাগে। সেই টাকা জোগাড়ের জন্য, প্রতিদিন ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে সন্ধ্যাবেলা বেরিয়ে পরে নাইট ডিউটি দিতে। যেহেতু টেকনিক্যাল কাজ, সঙ্গে ছুরি ,হাতুড়ি, প্লাস ,শাবল – এগুলো থাকে।

গ্যাং ধরা পড়ল কী ভাবে?

৫ জুলাই রাত দুটো নাগাদ সোনারপুর থানার রাতে টহল দিচ্ছিল পুলিশ। দুটি ছেলেকে দেখতে পান পিঠে ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোনারপুর স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছে। সেই সময় পুলিশ ওদেরকে দাঁড় করিয়ে পিঠের ব্যাগ খুলে দেখতেই, বেরিয়ে পড়ে টেকনিক্যাল কাজের যন্ত্রপাতি। সঙ্গে চুরির কিছু মালপত্র। ব্যাস তারপর পুলিশের জেরায় স্বীকার করে ফেলে সমস্ত কীর্তি।   পরে পুলিশ ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে বাসার আলি খান, ইসারুল মোড়ল, রাজেশ শেখ, রাকেশ শেখকে গ্রেফতার করে।
এদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘুটিয়ারি শরিফের মাদারতলা এলাকা থেকে ইসলাম মোল্লা নামে একজনকে গ্রেফতার করে। এই ইসলাম মোল্লা চোরের কাছ থেকে চুরির মালপত্র কিনত।
ইসলামকেও সোনারপুর থানার পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।   এই চোরের দল মাঝে মাঝে কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকাতে ডাকাতি ও করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Previous articleমেটিয়াবুরুজে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জের, সরানো হলো ওসিকে
Next articleইন্ডিয়া গ্লোবাল উইকের মঞ্চে মোদির ভাষণ