মুকুলকে নিয়ে তাহলে কী করতে চায় বিজেপি?

মুখে ভালো সম্পর্ক।

দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে সফল বৈঠক।
এদিকে ইডির নোটিশ!

মুকুল রায়কে নিয়ে কী করতে চাইছে বিজেপি?

সূত্রের খবর, নারদকাণ্ডে যে অভিযুক্তদের নোটিশ দিয়ে সাত বছরের আয়, ব্যয়, সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে মুকুল রায়ের নাম আছে।
তিনি বিজেপিতে।
এবং কদিন আগেই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে খোশমেজাজে ফিরেছেন দিল্লি থেকে।

তাহলে ইডির নোটিশে তিনি কেন?
বিশেষত যেখানে মুকুল বারবার বলেন তাঁকে ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা যায়নি।

এখানে জল্পনা হল, মুকুলশিবির যেখানে দিল্লির মন্ত্রিত্ব বা বড় দায়িত্বের আশা করছেন, সেখানে এই ইডির নোটিসে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না তো?

মুকুলঘনিষ্ঠদের একাংশের বক্তব্য, এই ইডির নোটিশ নিয়ে আদৌ উদ্বেগের কিছু নেই। এটা রুটিন কাজ। এতে তদন্তে নিরপেক্ষতা দেখানো যাবে। এতে মুকুল রায়ের উদ্বেগের কিছু নেই। সব নথি আছে। বরং মুকুল ক্লিন চিট নিয়ে বেরিয়ে বড় দায়িত্বের রাজনীতি করবেন। আর এই নোটিশের সঙ্গে দিল্লির দায়িত্বের সম্পর্ক নেই। দিল্লির দায়িত্ব আসবেই। মুকুলকে সামনে রেখেই ভোটে যাবে বিজেপি। তার আগে বিতর্কের কাদা মুছে দেওয়া চলছে।

আবার মুকুলশিবিরেরই অন্য অংশ বলছে, 2018 থেকে এই গল্প চলছে। এখনও সময় নষ্ট হচ্ছে। এতদিন দিল্লি কাজ করার পরিবেশ দেয়নি। এখন ভোটের আগে মুকুলকে কিছু দায়িত্বের কথা বলা হচ্ছে। আবার তার মধ্যেই ইডির নোটিশ কার্যত অন্য বার্তা। এতে মুকুলের পক্ষে নিজস্ব কৌশল সাজানো বিলম্বিত হচ্ছে।

সূত্রের খবর, মুকুল সল্টলেকেই নতুন বাড়িতে অফিস খুলেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব এখনও স্পষ্ট। সরাসরি দিল্লির হস্তক্ষেপে বড় দায়িত্ব ছাড়া কাজের সুযোগ ও পরিসর নেই। নিজেকে অনেকটা গুটিয়েই রেখেছেন তৃণমূলের একদা নাম্বার টু এবং অধুনা বিজেপিনেতা মুকুল। দিল্লি তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছে বলে আশঙ্কাতেও আছে তাঁর শিবির।

ফলে, যা পরিস্থিতি, তাতে বিজেপির দিল্লির নেতৃত্ব কোনো মন্ত্রিত্ব বা বড় দায়িত্ব দিলে মুকুল কাজ করতে পারবেন। অন্যথায় তাঁকে কাজের পরিসর তৈরির পথে যেতে হবে। বাড়িতে বসে থাকা আর দুএকটা ভার্চুয়াল সভায় দূর থেকে ভাষণ ছাড়া এই মুহূর্তে তাঁর কাজ নেই। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর টিমের মুকুলকে দরকার বলেও মনে হয় না। মুকুলশিবিরের আশা, ভোটের আগে অন্তত দিল্লি মুকুলকে বড়ভাবে সামনে এনে যুদ্ধে নামবেন। আপাতত এমন আশা নিয়েই ধৈর্য ধরে সবদিকে জল চাপছে মুকুল শিবির।

 

Previous articleগ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের ডন বিকাশ দুবে
Next articleচিনের দালাল ওলির অপসারণ নিয়ে বৈঠক ফের পিছলো