শত আতঙ্কের মাঝেও মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তি পথ দেখাচ্ছে দেশকে, এমনকী ‘হু’কেও

পথ দেখাচ্ছে মুম্বাইয়ের ধারাবি বস্তি। করোনার গাইডলাইন যথাযথভাবে মেনে চললে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তির উদাহরণ তুলে বললেন WHO (হু)-র প্রধান ডাঃ তেদ্রোজ আধানম গেব্রেসুস। বললেন, স্পেন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের বৃহত্তম বস্তি আমাদের দেখিয়েছে যে খুব খারাপ সংক্রমণ থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে দ্বিগুণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কঠোরভাবে নিয়ম পালন করলে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।

কীভাবে সম্ভব হলো ঢাবিতে করো না প্রতিরোধ মূলত নিয়মিত টেস্টিং, সচেতনতা প্রসার, ট্রেসিং, আইসোলেটিং ও চিকিৎসার মাধ্যমে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। ধারাভিতে জনসংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষাধিক। আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫০০-এর সামান্য বেশি। মৃত্যু সংখ্যা ১০০-র আশপাশে। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর রয়েছে। চিকিৎসক এবং প্রশাসনিক মহলের আতঙ্ক ছিল, ধারাভি যেহেতু ঘনবসতিপূর্ণ, তাই সেখানে সংক্রমণ একবার ছড়াতে শুরু করলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আকার নেবে। এই কারণে ধারাবি বস্তিতে প্রায় প্রত্যেকটি গলির মুখে মুখে স্বাস্থ্যকর্মীরা থেকেছেন। সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজেশনের কারণ বুঝিয়েছেন। আশঙ্কার ছিল গণ শৌচালয় নিয়ে। ধারাভির ৮০% মানুষ গণশৌচালয় ব্যবহার করেন। তা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখাই ছিল চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জে যে তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চিকিৎসকদের চেম্বার ২৪ঘন্টা খোলা থেকেছে। টেস্টিং করা হয়েছে র‍্যনডম লেভেলে। সেই কারণে ধারাভি আশা জাগিয়েছে হুর কর্তাকেও।

Previous articleতানসেনের তানপুরা : বাংলা ওয়েব সিরিজের গান নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
Next articleলকডাউনের জের, গাড়ি বিক্রির পথে মহিলা অ্যাথলিট