উপার্জন নেই, মঞ্চ ছেড়ে ফুটপাতে শিল্পীরা ! চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য  

সঙ্গীতকে আঁকড়ে ধরে তাঁদের বেড়ে ওঠা। গানই তাঁদের জীবনের অক্সিজেন । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতেন৷ ডাক আসত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে৷ কিন্তু বেড়ে চলা ভাইরাসের সংক্রমণ আর তার জেরেই লকডাউন তাঁদের সেই মঞ্চ কেড়ে নিয়েছে৷ কবে আবার জলসা বা অনুষ্ঠান শুরু হবে, তা অনিশ্চিত৷ তাই বাধ্য হয়েই কলকাতার হাতিবাগানে ডিম- পাউরুটি বিক্রি করছেন কয়েকজন সঙ্গীত শিল্পী৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নিলিশা বসাক। পড়াশোনা শেষ করেই গানকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার মেলা, জলসা, সেমিনারে গান পরিবেশন করেন নিলিশা। তবে এই পরিস্থিতে পেশা বদলে গেছে তাঁর। গত মার্চ থেকে ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ফুটপাতে বসেছেন দোকান সাজিয়ে।

জানা গিয়েছে, সংসার চালাতে ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসেছেন নিলিশা। তার দোকানে দুধ, পাউরুটি, কুকিজ, বিস্কুটের সমাহার। দুই ভাইয়ের সহযোগিতায়, নিজের ব্যাঙ্কে থাকা সঞ্চয় ভাঙিয়ে নিলিশা এখন পুরোদস্তুর দোকানদার।
প্রতিদিন সকাল ৬টায় কলকাতার হাতিবাগান হরি ঘোষ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের পাশে ফুটপাতে নিজের বিকল্প পেশার ডালা খুলে বসেন নিলিশা।

 

যতদিন এই  পরিস্থিতি থাকবে ততদিন  এটাই পেশায় থাকবেন তিনি।  নিলিশা সঙ্গেই রয়েছে আরও কয়েকজন শিল্পীও। তবে রাস্তার ধারে দোকান দিলেও খুব একটা বিক্রি নেই৷ মঞ্চ, গান ভুলে আপাতত নতুন ব্যবসার মাধ্যমে পেট চালানোর পথ খুঁজতে হচ্ছে মাচা বা জলসার মঞ্চ মাতানো এই গায়ক গায়িকাদের৷ এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে হারিয়ে যাবেন তাঁরা।

নিলিশা ফুটপাতের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় সবার পাশে থাকেন। তিনি জনগণের নেত্রী। আমাদের দিকটিও তিনি যেন একটু ভেবে দেখেন। না হলে আমরা সত্যিই হারিয়ে যাব।”

Previous articleবাঙালি পরিচালকের হাত ধরে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জীবনী নিয়ে তৈরি ছবি
Next articleBreaking: 31 জুলাই পর্যন্ত কলকাতার সঙ্গে 6 শহরের উড়ান বন্ধ