বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে, তৃণমূলও ভাঙ্গবে, জানালেন বিজয়বর্গীয়

পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হচ্ছে এবং তারপরই তৃণমূল ভাঙ্গবে৷

আর ইঙ্গিত নয়, এবার স্পষ্টভাবেই বিজেপির এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ তিনি এ রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির পর্যবেক্ষকও৷

এক সাক্ষাতকারে বিজয়বর্গীয় বলেছেন, এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলেই তৃণমূল ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে৷ তৃণমূলের অসংখ্য সাংসদ, বিধায়ক, এমনকী একাধিক মন্ত্রীও বিজেপিতে যোগ দিতে তৈরি হয়ে আছেন৷ অপেক্ষা করুন, একুশের ভোটের আগেই সরকার ভাঙ্গবে, এনারাও দল ছাড়বেন”৷ একুশের নির্বাচনের আগেই এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন যে নিশ্চিত, এবার সেকথা জানালেন বিজেপি’র এই নেতা৷
বিজয়বর্গীয় বলেছেন, “বাংলায় এমন কোনও জেলা নেই যে জেলা থেকে তৃণমূলের নেতা, বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না৷ প্রতিটি জেলার তৃণমূল কর্মীরা দলে দলে বিজেপিতে আসতে চাইছেন,যোগাযোগ করছেন৷”

আরও একধাপ এগিয়ে বিজেপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেছেন, “প্রতিদিন তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা আমাদের হাতে রাজ্য সরকারের অজস্র দুর্নীতির তথ্য তুলে দিচ্ছেন৷ ওনারা দিচ্ছেন বলেই তো আমরা জানতে পারছি যে দুর্নীতিতে ডুবে আছে তৃণমূল সরকার৷”

কেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার পরই তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন, তার কারন ব্যাখ্যা করে বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ” তৃণমূল বাংলায় হুমকি, সন্ত্রাস আর পুলিশরাজ চালাচ্ছে৷ বিজেপির সঙ্গে যে নেতা বা কর্মী যোগাযোগ রাখছেন, তাদের উপর হামলা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে৷ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে তৃণমূল আর এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না৷ তখনই শুরু হবে ওই দলের বিপর্যয়, ভাঙ্গন৷” তিনি দৃষ্টান্ত পেশ করে বলেছেন, ” যতদিন মুকুল রায়, অর্জুন সিং-রা তৃণমূলে ছিলেন ততদিন ভালো লোক ছিলেন৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই খারাপ হয়ে গেলেন৷ একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে৷ পরিস্থিতি এমনই যে সাংসদ অর্জুন সিং লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যে কোনও মুহুর্তে তিনি খুন হতে পারেন৷ তৃণমূল অস্ত্র আর পুলিশের সাহায্যে সরকার টিঁকিয়ে রাখতে চাইছে৷ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে এই ভীতি কেটে যাবে৷ বাংলায় গণতন্ত্র ফিরে আসবে৷”

বিজয়বর্গীয় এছাড়াও বলেছেন :

◾হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শেষের আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, উনি আত্মহত্যা করেছেন৷ আমরা CBI তদন্ত চাই৷ রাজ্য রাজি না হলে বিজেপি আদালতে যাবে৷ রাজ্যপালের রিপোর্ট পেলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সক্রিয় হবে৷

◾ করোনা- মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ ৷ কেন্দ্র বার বার বললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নিচ্ছেন না৷ কেন্দ্রীয় দলকে পর্যন্ত আটকানো হচ্ছে৷ মহামারি প্রায় রাজ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, বাংলায় হচ্ছে না৷ করোনায় এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তৃণমূল সরকার৷ অথচ বাংলার সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে তৃণমূল৷

◾আমফান মোকাবিলায় কেন্দ্র হাজার কোটি টাকা দিয়েছে৷ সেই টাকা তৃণমূল নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে৷ ধরা পড়ে এখন ফর্ম ছাপিয়ে টাকা ফেরতের নাটক করছে৷ সব কিছুর তদন্ত হবে৷ সব ধরা পড়বে৷

◾ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দেশের রত্ন৷ ওনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও কথা এখনও হয়নি৷ তবে ওনার মতো মানুষ বিজেপিতে এলে দলের উপকার হবে৷

Previous articleBreaking: 31 জুলাই পর্যন্ত কলকাতার সঙ্গে 6 শহরের উড়ান বন্ধ
Next articleরাষ্ট্রসংঘের ৭৫ বর্ষে বাস্তবমুখী সংস্কার ও জোটবদ্ধ বিশ্বব্যবস্থায় গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি