পাঞ্জাবি ও জাঠদের বুদ্ধিসুদ্ধি কম! রসিকতার ছলে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করে বিপাকে বিপ্লব, চাইতে হল ক্ষমা

উল্টোপাল্টা মন্তব্য করার জন্য রীতিমত খ্যাতি অর্জন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তাঁর সর্বশেষ মন্তব্যটি নিয়ে এবার জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ উঠল। পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন তিনি। বললেন, নেহাতই রসিকতার ছলে করা মন্তব্য কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য নয়। বিপ্লব ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামছে না। বিজেপির বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে সরব কংগ্রেস। দলের জাঠ নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পাঞ্জাবি ও জাঠ ভাইবোনদের অপমান করেছেন। এবিষয়ে কী বলবেন মনোহরলাল খট্টর, জেপি নাড্ডারা? এটাই তো বিজেপির বিদ্বেষমূলক দৃষ্টিভঙ্গি!

ঠিক কী বলেছিলেন বিপ্লব দেব, যার জন্য এত বিতর্ক? ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বাঙালিদের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে জাঠ এবং পাঞ্জাবিদের বুদ্ধি কম বলে মন্তব্য করে বসেন। রবিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বিপ্লব দেব। সেখানে তাঁর উক্তি, ‘‘বলা হয়, বুদ্ধি এবং মেধার ক্ষেত্রে বাংলা এবং বাঙালিদের কখনও চ্যালেঞ্জ জানানো উচিত নয়। বুদ্ধিমত্তার জন্যই পরিচিত বাঙালি। এই বিষয়ে কেউ তাঁদের টক্কর দিতে পারবে না। ঠিক যেমন, পাঞ্জাবি এবং জাঠরা পরিচিত তাঁদের শারীরিক গঠনের জন্য।’’
বিপ্লব বলেন, ‘‘পাঞ্জাবের মানুষজনকে পাঞ্জাবি বা সর্দার বলে সম্বোধন করি আমরা। ওদের বুদ্ধিসুদ্ধি তেমন নেই, তবে অত্যন্ত শক্তিশালী। গায়ের জোরে ওদের সঙ্গে পেরে ওঠা যাবে না। হরিয়ানায় জাঠদের একটা বড় অংশ বাস করেন। বলা হয়, বুদ্ধিসুদ্ধি কম থাকলেও জাঠদের শারীরিক গঠন মজবুত। জাঠকে চ্যালেঞ্জ জানালেই বিপদ। বাড়ি থেকে সটান বন্দুক নিয়ে হাজির হবে।’’

বিপ্লবের এইসব মন্তব্য সামনে আসতেই জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। আর তারপর বিপ্লব ক্ষমা চেয়ে বলছেন, “কাউকে অপমান করা উদ্দেশ্য ছিল না। সমাজে প্রচলিত কিছু কথা মজার ছলে বলতে গিয়ে যদি কাউকে আঘাত করে থাকি, সেজন্য ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইছি। পাঞ্জাবি বা জাঠ, সবাই আমার প্রিয়।”

Previous articleতোর্সা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, গৃহহীন কয়েক হাজার বাসিন্দা
Next articleমাধ্যমিকের মার্কশিট বিলির দিন পরিবর্তন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল পর্ষদ