কান্দিতে কুসংস্কারের বলি বছর কুড়ির যুবক। মুর্শিদাবাদের পুরন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল মাঠে কাজে গেলে, তাঁকে সাপে কামড়ায়। মিলনকে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে, এলাকার দুই ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য নিয়ে যান। তাঁরা ‘হাত গুণে’ সাপের কামড়ে বিষ হয়নি জানালে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মিলনকে। শনিবার সকালে অসুস্থতা বাড়ায় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।

ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক কৌশিক সেনগুপ্ত জনিয়েছেন, সাপের কামড়ের পর রাতভর বেঁচেছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে সঠিক সময়ে নিয়ে যাওয়া হলে বেঁচে যেতে পারতেন। পরিবারের উচিত ছিল প্রথমেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর আস্থা রেখে হাসপাতালে নিয়ে আসা। একবিংশ শতকেও সাপের কামড়ে হাসপাতালের বদলে ওঝা-গুণিনের কাছে যাচ্ছেন মানুষ, এটা নিঃসন্দেহে সচেতনতার অভাব বলে মত সমাজবিদের।
