প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। এই নিয়ে চিন্তিত রাজ্য সরকার। আলুর আঁতুড় ঘর সিঙ্গুর। সেখানেও রবিবার খোলা বাজারে আলুর দাম চন্দ্রমুখী কেজি প্রতি ৩০ টাকা ও জ্যোতি আলু কেজি প্রতি ২৮ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, খোলা বাজারে কেজি প্রতি ২৫ টাকা বিক্রির নির্দেশ থাকলেও দাম উর্দ্বমুখী। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য সুকুমার সামন্ত জানান, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আগামী সপ্তাহ থেকে আলুর দাম কমার সম্ভাবনা আছে।

আগে থেকে আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে যদি নিয়মিত নজরদারি হত, তাহলে এইসময়ে এতটা দাম বৃদ্ধি হত না বলে মনে করেছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। খোলা বাজারে কেজি প্রতি আলু ২৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হলে আড়তদারদের হিমঘর থেকে আলু বের করে ঝাড়াই-বাছাই করে কেজি প্রতি ২২ টাকা দামে বিক্রি করতে হবে সিঙ্গুরের রতনপুর আলু পাইকারি আড়ত থেকে। আলুর বস্তা প্রতি দাম ৮০০/- টাকা হলেই তবেই সম্ভব খোলা বাজারে কেজি ২৫ টাকা হওয়া সম্ভব। এইমুহূর্তে রাজ্যে হিমঘর গুলিতে ৪০ লক্ষ মেট্রিকটন আলু মজুত রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তবু নজরদারির অভাবেই দাম বৃদ্ধি বলে অভিযোগ সিঙ্গুরের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
