একের পর এক অমানবিক দৃশ্য। বনগাঁ, শ্যামপুকুর স্ট্রিটে ছিল রবিবারের দৃশ্য। সোমবার দুপুরে আবার দুটি বেহালায় মৃত্যুর ৮ ঘন্টা পরেও মৃতদেহ সরালো না কেউ। মৃতের করোনা পজিটিভের রিপোর্ট মেলে একদিন আগেই। পরিবারের বাকি তিনজনও পজিটিভ হওয়ায় এলাকায় ওই বাড়িটি কার্যত ব্রাত্য হয়েছে। ফলে মৃতদেহ সরানো যায়নি দুপুর দেড়টা অবধি।
অন্যদিকে এদিন কলেজ স্ট্রিটে বাস থেকে নামার সময় বছর ৫৬-র প্রৌঢ় আরবাজ আলির হাত কেটে যায়। ঝরঝর করে রক্ত পড়তে থাকে। বৃদ্ধ মেডিক্যাল গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করলে তাঁর কথা তো শোনাই হয়নি, কার্যত হাসপাতাল থেকে তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিক অভিজিৎ চন্দর উদ্যোগে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বৃদ্ধ সেই অবস্থায় বৃষ্টিতে ভিজে প্রায় ঘন্টা তিনেক বসে থাকেন। কিন্তু তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দেওয়া হয়নি। পরে অ্যাম্বুলেন্স এলে তাঁকে এনআরএসে পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন, কিন্তু এইসব অপদার্থদের দৌলতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দফারফা হচ্ছে প্রতিদিন।