মুকুলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে সবুজ সঙ্কেত দিলেন দিলীপ, অভিজিৎ ঘোষের কলম

অভিজিৎ ঘোষ

নিজে সভাপতি থাকছেন। মন্ত্রী হতে চান না। তাই মুকুল রায়ের মন্ত্রিত্বে সবুজ সঙ্কেত দিলেন দিলীপ ঘোষ। দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির বৈঠক, সেখান থেকে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলার ইস্যুকে দিলীপ তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, কে কী লিখছেন বা বলছেন, সেটা আমার এক্তিয়ারে নেই। আমি যেটা করব, বা পার্টি যেটা করবে সেটা দেখতেই পাবেন। সেটা নিয়ে কোনও বেনিফিট অফ ডাউট নেই!

বাংলার বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে বিজেপির সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে নূন্যতম একজনকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করার। ক্যাবিনেট মন্ত্রী হতে দিলীপকে দলের শীর্ষস্তর থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় এবারের দিল্লি বৈঠকের মাঝে একান্ত টেলিফোন বার্তায়। বলা হয় দিলীপ ঘোষ কিংবা মুকুল রায়ের মধ্যে একজনকে মন্ত্রী করার ভাবনায় রয়েছে কেন্দ্র। দিলীপ সেই ফোনেই তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন, তিনি মন্ত্রিত্বে আগ্রহী নন, সংগঠনেই থাকতে চান। মুকুলদাকে মন্ত্রী করলে তাঁর আপত্তি নেই। ফলে মুকুল রায়ের ভাগ্যে মন্ত্রিত্বের শিঁকে ছেড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ নিজেই। ওই ফোনেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য দলে দিলীপের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও করেছেন।

বুধবার দুপুরে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাঁর দিল্লির বাড়িতে কয়েকজনকে খেতে ডেকেছিলেন। তার মধ্যে জনা পাঁচেক এসেছিলেন। সে নিয়ে গল্পের গরুকে গাছে তোলার চেষ্টায় মরিয়া। আসলে বিজেপিতে দিলীপ বিরোধী বলে তকমা পাওয়া বাবুল সুপ্রিয় আর স্বপন দাশগুপ্ত এই ভোজন পর্বে থাকায় আলোচনা আরও পল্লবিত হয়েছে। বিজেপির এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, এটা আসলে বিজেপির তৃণমূলপন্থী নেতাদের বৈঠক। আর দিলীপ বলছেন, কেউ কারওর বাড়িতে খেতে গিয়েছেন সেটা যেমন আলোচনার বিষয় হতে পারে না। তেমনি সেটাকে যদি কেউ অন্য রঙ দিতে চান, দিন। রঙিন হলে বলবেন ছবি পাঠাতে। দেখব।

এবারের দিল্লির বৈঠকে বেশ কিছু নেতাকে ডাকা না ডাকা নিয়ে জলকচুরি অব্যহত। দিলীপ কলকাতায় ফিরে আসার পরেও সে নিয়ে আলোচনা চলেছে। রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ সায়ন্তন বসু বলছেন, যাদের বৈঠকে থাকার কথা ছিল, তাঁরাই ছিলেন। লোকসভা ধরে, জোন ধরে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। এমনকী আমিও ছিলাম না অধিকাংশ বৈঠকে। প্রায় অর্ধেকের বেশি জোনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকিটা অগাস্টে কলকাতায় হতে পারে। ফলে ডাকা না ডাকা নিয়ে বেকার গাছের পল্লব বাড়িয়ে লাভ নেই। সেই পল্লবে বেশিক্ষণ ঝুলে থাকা যাবে না।

শেষ মুহূর্তে হঠাৎ কি কোনও চমক দেখা যাবে রাজ্য বিজেপিতে? সে সম্ভাবনা নেই বললেও একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছে না দিল্লির রাজনৈতিক মহল।

Previous article৩৪ বছর টানা বিধায়ক থাকার রেকর্ড!
Next articleপ্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক