তিন দশক পর বদল জাতীয় শিক্ষানীতিতে, কী আছে দেখুন এক নজরে

দীর্ঘ তিন দশক পর সময়ের চাহিদা মেনে ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাস্তবমুখী করার প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শে জাতীয় শিক্ষানীতিতে বড় বদল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন শিক্ষা নীতিতে স্কুলছুট প্রায় দু’কোটি পড়ুয়া ফের স্কুলে ফিরবে, এমনই দাবি শিক্ষা মন্ত্রকের। কী কী বলা হয়েছে এই খসড়া শিক্ষানীতিতে, দেখে নেওয়া যাক।

সর্বশিক্ষা অভিযানে সংস্কার আনতে ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ১০+২ স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল এনে চার বছরের স্নাতক পাঠে জোর দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষা কিংবা স্থানীয় ভাষায় পঠনপাঠন আবশ্যিক। সংস্কৃত ভাষা চর্চা করানো হবে মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে। একইসঙ্গে থাকবে বিদেশী ভাষার চর্চাও।

১০+২ শিক্ষাব্যবস্থাকে ৫+৩+৩+৪-এ ভাগ করা হয়েছে। ১২ বছরের স্কুল জীবনের সঙ্গে প্রি-স্কুল হিসেবে আরও তিন বছর যুক্ত হয়েছে। একে বলা হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি ধাপ।

প্রতি বছরের পরিবর্তে এবার থেকে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে শুধু বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হবে। বাকি শ্রেণীতে পাসের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ দক্ষতা ও বুদ্ধির বিকাশ হবে মূল্যায়নের মাপকাঠি। তবে আগের মতই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বোর্ড পরীক্ষা হবে।

সর্বাধিক চার বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স থাকলেও এক বা দু’বছরের মাথায় উচ্চশিক্ষায় ইতি টানতে পারেন পড়ুয়ারা। সেক্ষেত্রে এক বছরে বৃত্তিমূলক সার্টিফিকেট আর দু’বছরে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট পাবেন তাঁরা।

কেন্দ্রীয় ভাবে উচ্চশিক্ষা পর্ষদ গড়া হবে, যারা উচ্চশিক্ষার বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবে। আইন ও মেডিক্যাল কলেজের বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে পারবে এই পর্ষদ।

আইআইটিগুলিতে কলা ও সমাজবিজ্ঞানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

এম ফিল কোর্স থাকছে না। স্নাতক স্তরের বিষয় নির্বাচনের সময় প্রভূত স্বাধীনতা পাবেন পড়ুয়ারা।

কোনও ছাত্র একইসঙ্গে বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করতে পারবেন। রসায়নের সঙ্গে সঙ্গীত, পদার্থবিদ্যার সঙ্গে ফ্যাশন টেকনোলজি নিয়ে পড়তে বাধা নেই।

 

Previous articleপ্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক
Next articleরাজি রাজ্যপাল, ১৪ অগাস্ট বসছে রাজস্থান বিধানসভা