দিঘার বাজারে দেখা মিলল রুপোলি শস্যের! দাম কী নাগালের মধ্যে?

বেশ কয়েকদিন ধরে তার দেখা মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত দিঘা মোহনার মাছ বাজারে বৃহস্পতিবার কোল আলো করে তিনি ছিলেন। হ্যাঁ, ইলিশ!লকডাউন ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর ১ জুলাই থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য দিঘা উপকূল থেকে প্রায় হাজার খানেক ট্রলার ও নৌকা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। তবে এর আগে ১৫ জুন মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীরা মাছ শিকারের জন্য সমুদ্রে পাড়ি দেন। কিন্তু দিঘার বেশির ভাগ মৎস্যজীবী ১ জুলাই থেকে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন। যাঁদের ফিরে আসতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আর এই ট্রলারগুলি ফিরলে ইলিশের জোগান আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে ।নিশ্চয়ই ভাবছেন তাহলে এই ইলিশের দেখা কীভাবে মিলল? আসলে আবহাওয়ার কারণে মাঝ সমুদ্র থেকে ফিরে আসা মৎস্যজীবীদের ট্রলারেই ধরা পড়েছে ইলিশ!
পরিমাণে খুব বেশি না হলেও বেশ কিছুদিন পরে ইলিশ ওঠায় খুশি মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী এবং ইলিশ প্রেমী ক্রেতারা প্রত্যেকেই।
পূবালি হাওয়া আর বৃষ্টি -বাদলার কারণেই ইলিশ ধরা পড়েছে বলে মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি। এই আবহাওয়া চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিন আরও ইলিশ উঠতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
ইলিশের দামও বেশ নিয়ন্ত্রণে।
৫০০/৬০০ গ্রাম ইলিশের দাম- ৬০০ টাকা কেজি, ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৭০০ টাকা কেজি এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি এক হাজার টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
কাঁথি মৎস্য দপ্তরের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, ‘একটি ট্রলার সমুদ্রে মাছ শিকার করে ফিরে আসতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে। তাই ১ জুলাই থেকে বেরানো ট্রলার ও বোটের ফিরে আসতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তাছাড়া ইলিশ শিকার করে ফিশিং বোট। যেগুলি এখনও পর্যন্ত ফিরে এসেছে সেগুলির বেশির ভাগ ট্রলার। সে কারণে ইলিশের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বলছে চলতি মরশুমে প্রচুর ইলিশ উঠবে মৎস্যজীবীদের জালে।’

Previous articleকলকাতা হাইকোর্টের ইউটিউব চ্যানেল, লক্ষ্য, আইনি লড়াই এড়িয়ে বিরোধের ফয়সালা
Next articleবিধি মেনেই আজ শান্তিনিকেতনে ২২শে শ্রাবণ