কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য ৫ কারণ

কী কী কারণে কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনা? বোয়িং ৭৩৭ বিমান নিয়ে নানা অভিযোগ। গত বছর এই বিমানবন্দরেই বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। কিন্তু ব্ল্যাক ফ্রাইডের বিমান দুর্ঘটনায় যে কারণগুলি সামনে এসেছে…

১. এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চালক সুমন্ত্র রাচৌধুরীর দাবি, প্রাথমিকভাবে বোঝাই যাচ্ছে আবহাওয়া দুর্ঘটনার পিছনে মূল কারণ। টানা বৃষ্টিতে জল জমেছিল টারম্যাকে। পিছল ছিল। সেই সঙ্গে সামুদ্রিক ও পাহাড়ি হাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। ব্রেকের সমস্যাই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

২. কোঝিকোড় বিমানবন্দরের ভৌগোলিক অবস্থান হলো চারদিকেই গভীর খাদ। ফলে নির্দিষ্ট উচ্চতায় এলেই তবে ল্যান্ডিংয়ের জন্য গ্রিন সিগন্যাল মেলে। শুক্রবার পরপর দু’বার ল্যান্ডিয়ের চেষ্টা করেও ফিরতে হয়। শেষে উল্টোদিক দিয়ে নামা হয়।

৩. কোঝিকোড় বিমানবন্দরের দৈর্ঘ্য ৯৮০০ ফুট। জানা গিয়েছে বিমানটি প্রায় ৩ হাজার ফুট এগিয়ে নামে। কিন্তু তাতেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাহলে ৭হাজার ফুটের মধ্যেও কেন থামানো গেল না! তাহলে কি এক্ষেত্রে বর্ষায় চাকার গ্রিপই মূল কারণ! ব্ল্যাক বক্সে সেই জবাব পাওয়া যাবে।

৪. বোয়িং ৭৩৭ নিয়ে পাইলটদের মধ্যে নানা অভিযোগ। ১৯৫০ থেকে নানা দুর্ঘটনা ঘটেছে এই বিমানে। যদিও সেই বিমানগুলি ছিল ব্যাক্স, এগুলি নতুন ভার্সনের। কিন্তু বারে বারেই বোয়িং ৭৩৭ -এর দুর্ঘটনা নিঃসন্দেহে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল।

৫. টেল উইন্ড ফ্যাক্টর। উল্টো দিক দিয়ে নামায় হাওয়ার পক্ষে হয়ে গেলে বিমানের গতিও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও কি সেটাই হয়েছিল?

Previous articleজবাবে অসন্তুষ্ট ইডি, রিয়াকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা
Next articleঅগাস্টে করোনা সংক্রমণের নিরিখে ব্রাজিল-আমেরিকাকে টপকে শীর্ষে ভারত!