ঝাঁপি ভর্তি স্মৃতি। সাত দশক আগের রাজ কাপুর থেকে এক দশক আগের আমির খান। প্যারাডাইসের স্তম্ভগুলি, গাড়ি বারান্দা বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে ইতিহাস হতে বসেছে প্যারাডাইস নিজে।
মহামারি আবহে বন্ধ হয়েছে সিনেমা হলের দরজা। এই অবস্থায় সংকটের মুখে পড়েছে সিঙ্গল স্ক্রিনের ভবিষ্যৎ। সিনেমা হল খুললে আদৌ সিঙ্গল স্ক্রিন খুলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোমবার প্যারাডাইস কর্তৃপক্ষ ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ নোটিশ জমা দিয়েছে ইম্পার কাছে। চলচ্চিত্র জগৎ, প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের সমিতি ইম্পা। অনেকের মতে এই নোটিশ সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার আগে পদক্ষেপ। যার অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্মীদের ভার আর বহন করবে না।
প্যারাডাইসের মালিকপক্ষ বেঙ্গল প্রপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সুনীত সিং বলেন, “এসি হলে পাশাপাশি বসে সিনেমা দেখার অভ্যাসটাই থাকবে না। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া বাকিদের বেতন দেওয়া এখন সম্ভব নয়। কবে পরিস্থিতি পাল্টাবে তাও বলা যাচ্ছে না।” ইম্পা-র কোষাধ্যক্ষ শান্তনু রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ মহামারি পরিস্থিতিতে ক’টা সিনেমা হল টিকে থাকবে তা বলা কঠিন।
রাজ্যের ২৭০-৮০টি সিনেমা হল, কলকাতার ২০টি সিনেমা হলের অবস্থা শোচনীয়। “