আবার নক্ষত্রপতন, নিউ জার্সিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পণ্ডিত যশরাজের

একের পর এক নক্ষত্রপতন। এবার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দিকপাল পন্ডিত যশরাজ চলে গেলেন। নিউ জার্সিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এদিন সকালে তিনি প্রয়াত হন। খবর দিয়েছেন তাঁর কন্যা দুর্গা যশরাজ। এ বছরই তিনি ৯০-তে পা দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই ইতি হলো শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি ধারার।

মেওয়াতি ঘরানার যশরাজের জন্ম ১৯৩০ সালে হরিয়ানার হিসারে। প্রায় ৮০ বছর ধরে সঙ্গীতই ছিল তাঁর ধ্যান, জ্ঞান, প্রথম প্রেম, নেশা এবং অবশ্যই পেশা। বাবা পন্ডিত মতিরামও ছিলেন গুনী শিল্পী। যশরাজের দাদা পন্ডিত প্রতাপ নারায়ণও সঙ্গীত জগতে পরিচিত নাম। তাঁর সন্তানরা মুম্বইয়ে পরিচিত মুখ… যতীন-ললিত, অভিনেত্রী-গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত ও অভিনেত্রী বিজয়েতা পণ্ডিত। যশরাজের আর এক ভাই গায়ক পণ্ডিত মণিরাম।

যশরাজের কৈশোর কাটে হায়দরাবাদে। গুজরাতের সানন্দে যেতেন গান শিখতে। ১৯৪৬-এ কলকাতায় চলে আসেন। শুরু রেডিওতে গাওয়া। ১৯৬২-তে পরিচালক ভি শান্তারামের কন্যা মধুরা শান্তারামের সঙ্গে বিয়ে। বছর দুই আগে মুম্বইতে দু’জনের দেখা হয়। সেখানেই সেটেলড হন। এক দশক আগে মধুরা স্বামীকে নিয়ে একটি ছবিও করেন। ছবিতে লতা মঙ্গেশকর এবং যশরাজ একসঙ্গে গানও গান। যশরাজ শুধু গায়ক ছিলেন না, অসাধারণ তবলা বাজাতেন। তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ট্র‍্যাডিশনাল ঘরানার বাইরে অন্য মাত্রা যোগ করেন। সেমি ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীতে নতুন ধারা হাভেলি সঙ্গীত তৈরি করেন। দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে একের পর এক সম্মান পেয়েছেন… পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ পুরস্কার।

Previous articleতুরস্কের ফার্স্ট লেডির পাশে আমির, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপগন্ডদের বিপ্লবী সাজার চেষ্টা
Next articleরাজ্যে ভাইরাস চিকিৎসায় ‘কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করল সরকার