শান্তিনিকেতন: বিক্ষোভ মিছিলে তৃণমূল বিধায়ক, রাজনীতির অভিযোগ ওড়ালেন নরেশ বাউরি

রবিবারের পর সোমবার শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা মাঠে বিশ্বভারতীর পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে ধুন্ধুমার হয় সকাল থেকে। এদিন সকালে নির্মাণের কাজ শুরু হলে জমায়েত হন এলাকার বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশা মুখোপাধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের জমায়েত হওয়ার নির্দেশ দেন সোমবার সকালে। উপাচার্য মিছিল করে মেলার মাঠে পৌঁছন সকাল ৯ টা নাগাদ এবং তাঁর উপস্থিতিতে পে লোডার দিয়ে শুরু হয় মেলার মাঠ ঘেরার জন্য নির্মাণের কাজ। খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন-বোলপুর থেকে প্রচুর মানুষ জমা হন প্রতিবাদ করতে। এলাকায় মিছিল করেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি। তাঁর উপস্থিতি ঘিরেই শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা। বিক্ষোভের পিছনে রাজনীতির মদত আছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। যদিও নরেশ বাউরির স্পষ্ট জানান, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, স্থানীয় মানুষ এবং বিশ্বভারতীর অনুরাগী হিসেবেই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

উত্তেজিত জনতা নির্মাণ সামগ্রী লন্ডভন্ড করে দেন। তারপর এলোপাথাড়ি ভাঙচুর চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিস ঘরে। তার মধ্যেই নির্মাণের জন্য আনা পে লোডার দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গেটের স্তম্ভ ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সেখানেও ব্যাপক ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় রণক্ষেত্রে চেহারা নয় পৌষমেলা মাঠ চত্বর।

Previous articleকার্শিয়াঙে বেড়াতে গিয়ে গাড়ি খাদে, মৃত শিলিগুড়ির ৫ যুবক
Next articleরাজ্যপাল বিজেপিতে যোগ দিন সেটাই আমরা চাই: পার্থ