আমিরশাহিতে স্বপ্নের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর এবার ড্রিম ইলেভেন

ক্রোড়পতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পনসর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল ক্রিকেট মহলে। ভিভো সরে যাওয়ায়, আইপিএলের আগে নিজেদের নাম বসাতে বেশ কয়েকটি নামি ব্র্যান্ড আগ্রহ দেখিয়েছিল। জিও, আমাজন, টাটা, ড্রিম ইলেভেন, আদানীর মতো ভারতীয় সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখিয়েছিল। এমনকী বাবা রামদেবের পতঞ্জলি গ্রুপও নিজেদের ব্র্যান্ড ইমেজ উজ্জ্বল করতে আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনলাইনে ফ্যান্টাসি স্পোর্টস খেলার প্রতিষ্ঠান ড্রিম ইলেভেনই শেষ পর্যন্ত বাজি জিতে নিল।

আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, ২২২ কোটি টাকায় এ মরশুমে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর কিনে নিয়েছে ড্রিম ইলেভেন। ২০২০ সালের ১৮ অগাস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইপিএলের ব্র্যান্ড ইমেজ কাজে লাগাতে পারবে ড্রিম ইলেভেন।

শুধু ২০২০ সালের জন্য টাইটেল স্পনসর বিক্রির কারণ হলো, আগামী মরশুমে আবারও ভিভোকে নিয়ে আসা হতে পারে আইপিএল টাইটেল স্পনসরের জন্য। যদি ভিভো ফিরে নাও আসে, তবে অন্য কোনও ব্র্যান্ডের কাছে আরও চড়া মূল্যে বিক্রি করতে চায় আইপিএল। এবার করোনার কারণে এবং ভিভো চলে যাওয়াতেই টাইটেল স্পনসরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়ের উৎস অর্ধেক মূল্যেই ছেড়ে দিয়েছে আইপিএল।

২০১৭ সালে ২ হাজার ১৯৯ কোটি টাকার বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের স্বত্ব কিনে ছিল ভিভো। অর্থাৎ, বছরে ৪৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ভারত-চিনন সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারত জুড়ে চিনা পণ্য বর্জনের ডাক শুরু হয়েছিল। প্রথমে কয়েকশো মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা এ বছরের জন্য আইপিএল থেকে সরে গেছে।

এদিকে নতুন করে টাইটেল স্পনসর খোঁজার আগে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত দিয়েছিল বিসিসিআই। বছরে ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় করে এমন সব ব্র্যান্ডই শুধু টাইটেল স্পনসর হওয়ার জন্য আবেদন করতে পেরেছিল। শুধু উঁচু দর হাঁকিয়েই নিলামে জয়ী হতে পারেনি ড্রিম ইলেভেন। আইপিএলের ইমেজ রাইট কীভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা তাদের এবং এর ফলে আইপিএলের ব্রান্ড ইমেজে কী ধরনের প্রভাব পড়বে—এমন সবকিছুই মাথায় রেখে ড্রিম ইলেভেনকে বেছে নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। কারণ, এর থেকে পাওয়া অর্থের ৫০ শতাংশ আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রতি বছর ২০ কোটি টাকার বেশি পেত দলগুলো। এবার সে অঙ্কটা কমে যাচ্ছে।

Previous articleবেসরকারি স্কুলের বেতন, ২ সদস্যের কমিটিতে হাইকোর্টে নাম প্রস্তাব সরকারের
Next articleরাষ্ট্রপতির সবুজ সংকেত, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এখন শিক্ষা মন্ত্রক