বিশ্বভারতী কাণ্ড: ভাঙচুরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি চাইতে পারে কর্তৃপক্ষ

বিশ্বভারতীর ভুবনডাঙার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক গন্ডগোল, ভাঙচুর চালানো হল গোটা এলাকায়। তার জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্বভারতী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে। একইসঙ্গে

পরিকল্পিতভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, লুটপাট, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জট কাটাতে তৎপর জেলা প্রশাসনও। বুধবার নিজের দফতরে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করবেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। কিন্তু এই ঘটনায় আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে গোটা ঘটনা জানানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, সরকারি নির্মাণ কাজে বাধা,ভাঙচুরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার অনুমতি না দিলে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে পৌষমেলার মাঠ ঘেরার প্রতিবাদে এলাকার হাজারখানেক মানুষ ভাঙচুর চালান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসে। ভাঙা হয় বিশ্বভারতীর একটি গেটও। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সদ্য শুরু হওয়া পাঁচিলের ভিতের অংশ। মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে পাঁচিল কেন? এই প্রশ্ন তুলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন একদল পড়ুয়া। রাস্তাও অবরোধ করা হয়।

উপাচার্যের বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, পে লোডার এনে পাঁচিল ভাঙার কাজে সোমবার স্থানীয়দের উসকানি দিয়েছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Previous articleবিশ্বভারতীর জট খুলতে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকলেন জেলাশাসক
Next articleবাংলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো আড়াই হাজার, আক্রান্ত ১.২৫ লক্ষ ছুঁইছুঁই