‘নিউ নর্মাল’ জমানায় ভোল বদলাচ্ছে সংসদের, সেপ্টেম্বরে শুরু হবে অধিবেশন  

মহামারির আবহে ‘নিউ নর্মাল’ জমানায় ভোল বদলে যাচ্ছে সংসদের। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে বাদল অধিবেশন। তখনই পরিবর্তিত চেহারার সংসদকে দেখা যাবে। অনেকেই বলছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে যেরকম বড় মাপের ব্যবস্থাপনা ও আঙ্গিকের পরিবর্তন হচ্ছে তা ১৯৫২ সালের পরে ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে এই প্রথম। কোভিড মহামারির পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে গোটা সংসদ চত্বরকে ‘সেফ জোন’ বানাতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়। ভারতে মহামারির প্রকোপ শুরু হওয়ার অাগে ২৩ মার্চ মুলতুবি হয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। নিয়মমত ছমাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বরের আগে শুরু করতেই হবে পরবর্তী অধিবেশন। বর্তমানে ভারতে করোনা সংক্রমণ প্রবলভাবে উর্ধমুখী। এই অবস্থায় চূড়ান্ত সতর্কতা ও সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন পরিচালনা করাটাই চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে তারই প্রস্তুতি চলছে সংসদে। সূত্রের খবর, এবারের অধিবেশন প্রায় এক মাসের কাছাকাছি চলতে পারে। তার মধ্যে কী কী ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

১) আলোচনা চলছে যে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন প্রতি অল্টারনেট ডে-তে করা যায় কিনা। অর্থাৎ একদিন লোকসভা ও একদিন রাজ্যসভার অধিবেশন চলবে। বিকল্প ভাবনা হল, একই দিনের প্রথমার্ধে লোকসভা ও দ্বিতীয়ার্ধে রাজ্যসভার অধিবেশন করা যায় কিনা।

২) লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই সচিবালয়েই সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ চলবে।

৩) সংক্রমণ ঠেকাতে কাগজের ব্যবহার যথাসম্ভব কম করা হবে।

৪) ঢোকা, বেরনো ও যাতায়াতের পথে একাধিক জায়গায় থাকবে স্যানিটাইজেশন ও স্ক্রিনিং বুথ। প্রত্যেক সদস্য ও কর্মীকে তার ভিতর দিয়েই যাতায়াত করতে হবে।

৫) পলিকার্বনেট শিট বসিয়ে গ্যালারি ও চেম্বার আলাদা করা হচ্ছে।

৬) বাতানুকূল যন্ত্র থেকে যাতে জীবাণু না ছড়ায় সেজন্য বিশেষ জীবাণু প্রতিরোধক যন্ত্র বসানো হবে।

৭) লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বিভিন্ন জায়গায় সদস্যের ব্যবস্থা করা হবে। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে লোকসভার সদস্যরা বসবেন অধিবেশন কক্ষ, রাজ্যসভা ও সেন্ট্রাল হলে। আবার রাজ্যসভার সদস্যরা বসবেন অধিবেশন কক্ষ, গ্যালারি এবং লোকসভায়। সমস্ত দূরত্ববিধি মেনেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সংসদ সদস্যদের বসার ব্যবস্থা হবে।

৮) প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের জন্য আলাদা আলাদা বসার জায়গা চিহ্নিত থাকবে।

৯) সভার সদস্যরা আলাদা আলাদা জায়গায় বসবেন বলে সর্বত্রই বাড়তি স্ক্রিনের মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা হবে।

১০) সভার কাজ মুলতুবি না হওয়া পর্যন্ত সদস্যরা বাইরে বেরতে পারবেন না।

১১) সব সদস্যকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে ডাউনলোড করতে হবে।

১২) সভার কাজ কভার করার জন্য মিডিয়ার প্রবেশেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

১৩) এবারের অধিবেশনে ভিজিটরদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

১৪) জিরো আওয়ার ও প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্ভবত বাদ দেওয়া হবে এবারের অধিবেশনে।

 

Previous articleএবার কার কার বাড়ি যাবেন কৈলাস, মেনন?
Next articleমদের দাম বাড়ছে, বার খুলবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে