নারদা কাণ্ডে ফের সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ফের এই মামলায় অভিযুক্তদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসকফিরহাদ হাকিমেরও আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির হিসেব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি।
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ইডি আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তির হিসাব চেয়ে পাঠিয়েছে। আমি তাদের উত্তর দিয়েছি। সেটা ওরা দেখে নেবে। আসলে একুশের নির্বাচনের আগে এসব অনেকেই কিছুই হবে। বিজেপি সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির রাজনীতিকরণ করে দিয়েছে। নির্বাচন আসবে যাবে। সরকার ভাঙবে-গড়বে। কিন্তু সংস্থাগুলির এভাবে রাজনীতিকরণ করাটা ঠিক নয়। এতে সংস্থার সুনামে দাগ লাগে।”
তিনি আরও বলেন, “কোনও তদন্তে যখন অন্য এজেন্সিগুলি
ব্যর্থ হয়, তখন সিবিআই কিংবা ইডিকে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু কথায় কথায় এদের নামিয়ে সংস্থার গুরুত্ব কমে যায়। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল সব ক্ষেত্রেই এজেন্সি ব্যবহার করছে রাজনীতি করার জন্য। ওই জন্যই সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সিবিআই তোতা পাখি।”
অন্যদিকে, তাঁর মস্তিষ্ক-প্রসূত নারদা স্ট্রিং অপারেশন নিয়ে ইডি নতুন করে নড়েচড়ে বসায় বেজায় খুশি নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলস। তাঁর কথায়, “ইডি অভিযুক্তদের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে নোটিশ পাঠনোয় আমি খুশি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এভাবেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”