কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করে লকডাউনের দিন অপরিবর্তিত রেখে রাজ্যের চ্যালেঞ্জ

কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতেই গেল রাজ্য সরকার। লকডাউন নিয়ে সরাসরি কেন্দ্র রাজ্য লড়াই। পূর্ব নির্ধারিত লকডাউন, অর্থাৎ ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর যে পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে, তা সোমবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হলো। যদিও ৩০ অগাস্ট দেওয়া কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, রাজ্যগুলি চাইলে আলাদাভাবে লকডাউন করতেই পারে। তবে এরজন্য কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে অনুমতি নিতে হবে।

রাজ্য বিজেপি এই পদক্ষেপকে কেন্দ্রীয় আইন অমান্য করা হিসাবেই দেখছে। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, যে মহামারি আইনের বলে লকডাউন করা হচ্ছে, তা কেন্দ্রীয় আইন। রাজ্য লকডাউন চাইতেই পারে। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করতেই হবে। এক্ষেত্রে করা হয়নি। মনে রাখতে হবে সরকারি আধিকারিক আইএএস, আইপিএস-রা কেন্দ্রের কর্মচারী। আইন ভাঙার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতেই পারে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, মোটেই কেন্দ্রীয় আইন ভাঙা হচ্ছে না। কেন্দ্র এই নির্দেশিকা জারির আগেই রাজ্য নির্ধারিত তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে এই নির্দেশিকার আগের বিষয় এটি। এরপরের লকফাউন করতে গেলে এই প্রশ্ন এলেও আসতে পারে। আসলে লকডাউনের দিন অপরিবর্তিত রেখে এবং কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন্দ্রকে রাজ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : সেপ্টেম্বরে ঘোষিত লকডাউন পালন হবে রাজ্যে, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

Previous articleBreaking : প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়
Next articleদৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, আপনি এই যুদ্ধও হেলায় জয় করবেন