মাদক যোগে কি গ্রেফতারের মুখে শৌভিক?

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে মাদক যোগের সূত্র ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। নতুন নতুন যেসব তথ্য তদন্তকারী সংস্থাগুলির হাতে আসছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতারের সম্ভাবনা রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর। সিবিআই, ইডি এবং নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো তিন সংস্থার হাতেই শৌভিকের সঙ্গে মাদক পাচারকারী বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথনের প্রমাণ এসেছে। এনসিবির হাতে ধৃত মাদক পাচারকারীরাও শৌভিকের সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছে। আবার সুশান্তর বন্ধু কাম প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাও জানিয়েছে, শৌভিকের কথাতেই একাধিকবার মাদকের টাকা দেওয়া হয়েছে এবং প্যাকেট আনানো হয়েছে। শুধু শৌভিকই নয়, তার দিদি রিয়ার মোবাইল চ্যাটেও মাদক সংক্রান্ত কথোপকথন রয়েছে। সুশান্তর মৃত্যুরহস্যে তাই নতুন মাত্রা যোগ করেছে মাদক ব্যবহার ও পাচারের বিভিন্ন বিষয়।

এইসব তথ্যের ভিত্তিতে মাদক সংক্রান্ত মামলা অারও জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই একাধিক মাদক পাচারকারীকে জেরা করে বলিউডের বহু প্রভাবশালীর নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে এই প্রথম দুজনকে হেফাজতেও নিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তদন্ত চলাকালীন রিয়ার যে মাদক সংক্রান্ত চ্যাটের অস্তিত্ব পেয়েছিল ইডি, সেই সূত্র ধরেই বান্দ্রা থেকে প্রথম গ্রেফতার করা হয় আব্দুল বসিত পরিহারকে। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখত এই বসিত। আবার প্রাথমিক তদন্তে এনসিবি জানতে পেরেছে মিরান্ডার সঙ্গে মাদক সম্পর্কিত বিষয়ে যোগাযোগ রাখত রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এনসিবির গোয়েন্দারা মঙ্গলবার বসিতকে জেরা করে আরও একজন নতুন ড্রাগ পাচারকারী জাহিদ ভিলাত্রার খোঁজ পায়। জাহিদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়া থেকে ফৈয়াজ আহমেদ নামে আরেক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত জাহিদেরও দাবি, তার সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর যোগাযোগ রয়েছে। এইসব নতুন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে রীতিমত বেকায়দায় শৌভিক। বারবার একাধিক তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়েছেন তিনি। এমনকী রিয়ার চেয়েও বেশিবার এবং বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শৌভিককে।

 

Previous articleপ্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের দখলে
Next articleকঠোর হচ্ছে ফেসবুক, এই নিয়মগুলি না মানলে কড়া ব্যবস্থা!