সুদ জমা হয়নি পিএফে, কপালে চিন্তার ভাঁজ সাধারণের

পিএফএ সুদ জমা হয়নি, আর তাতেই আশঙ্কার মেঘ জমেছে। মহামারি আবহে কেন্দ্র মহার্ঘ্য ভাতা তথা ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রায় দেড় বছর স্থগিত রেখেছে। এবার আমজনতার প্রশ্ন, হকের টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডেও কি এবার কোপ পড়তে চলেছে? কিন্তু কেন উঠছে এই প্রশ্ন? ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের সুদ পিএফ অ্যাকাউন্টে এখনও জমা পড়েনি। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট আর্থিক বছরের জন্য ইপিএফও অছি পরিষদ ৮.৫০ শতাংশ সুদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও অনুমোদন করেনি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।

কিন্তু কেন কেন্দ্রের এই আচরণ? সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ কোটি সদস্যকে এই সুদ দেওয়ার মতো সংস্থান এখন কেন্দ্রের নেই। আর তাই আরও ছাঁটা হতে পারে। গত ৫ মার্চে বৈঠক হয় অছি পরিষদের। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১৯-২০ সালের পূর্ববর্তী বছরের থেকে ১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৮.৫০ শতাংশ করা হবে। অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদনক্রমে এই ঘোষণা করার কথা শ্রম মন্ত্রকের। অথচ তা নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এপ্রিলের মধ্যে সদস্যদের সুদ জমার যে হিসেব দেখানোর কথা, তাও এখনও মানা হয়নি।

আরও পড়ুন : এবার ত্রাণ তহবিলের ১০ কোটির কেলেঙ্কারি, তদন্তের মুখে অর্জুন

মহামারির কোপ পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রায়। ধাক্কা খেয়েছে রুজি-রোজগার। এহেন করুণ পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছে পিএফ এর সুদ। তাতে আরো উদ্বেগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। একাধিকবার সরকার দাবি করেছে, মানুষের সুরাহা করা হবে। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। তাঁদের প্রশ্ন, টাকা না থাকার অজুহাতে কেন সাধারণ মানুষের পুঁজিতে হাত বাড়াচ্ছে সরকার?

কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের দাবি, পিএফের লগ্নি থেকে আয় কমেছে। পুঁজির অভাবের যুক্তিতেই সুদের সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে অর্থ মন্ত্রকে। এই আবহে ৮.৫০ শতাংশ সুদ না দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। আশঙ্কা সুদের হার আরও কমতে পারে। সূত্রের খবর, এত কিছুর পরেও অর্থ মন্ত্রকের দাবি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে সুদ জমা পড়বে।

৮ সেপ্টেম্বর পিএফ এগজিকিউটিভ কমিটির এবং ৯ তারিখে অছি পরিষদের বৈঠক। অছি পরিষদের শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্যের বলেন, “২০১৯-২০ আর্থিক বছরের পিএফের আয় নিয়ে সমস্যা হয়নি। এই অর্থবর্ষে নিরিখে সুদ দেওয়া হবে। অতিমারির প্রভাব পড়েছে মার্চের শেষের দিকে। শিশুদের খরচ কেন্দ্রীয় সরকার দেয় না। পিএফের যে আয় তা থেকেই আসে। ফলে এটা অজুহাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” তিনি জানান, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে সুদ বদলের কোনও প্রস্তাব নেই। পশ্চিমবঙ্গে আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার নবেন্দু রাই বলেন, নতুন সুদ ঘোষণার আগে কেউ অবসর নিতেই পারেন। পিএফ থেকে টাকাও পারেন। সেক্ষেত্রে ৮.৬৫ শতাংশ হারে ২০১৯-২০ সালের সুদ পাবেন।

আরও পড়ুন : NEET পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে ১১-১২ সেপ্টেম্বর লকডাউন তুলে নেওয়ার আর্জি