বিজেপির রাজ্য কমিটিতে ব্রাত্য তথাগত! “হেভিওয়েট” শোভন তালিকার ৬৩ নম্বরে

গত বছর ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে নাম লিখিয়ে ছিলেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপিতে যোগদানের বছর পেরিয়েও ছিল না নাম-গন্ধ। অবশেষে বিজেপিতে কিছুটা সম্মানজনক পদ পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে রাজ্য কর্মসমিতির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করেছে বিজেপি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্য কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে নিন্দুকেরা কটাক্ষ করে বলছেন, যে শোভন শাসক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন, তিনি কিনা বিজেপির রাজ্য কমিটির ৬৩ নম্বর সদস্য! এখানেই বোঝা যায় তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব কতটা হ্রাস পেয়েছে!

প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার দলীয় রাজ্য কর্মসমিতির সদস্য ও আমন্ত্রিত সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে বঙ্গ বিজেপি। তাতে আমন্ত্রিত সদস্যদের ভাগ করা হয়েছে দুটি ভাগে। স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য ও বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য। দলের বহু নবীন-প্রবীণ জায়গা পেয়েছেন এই তালিকায়। তার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত। রয়েছেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত, অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফুটবলার ষষ্ঠী দুলে প্রমুখ।

আরও পড়ুন- অপহৃত পাঁচ ভারতীয় চিনে আছে বলে পরোক্ষে স্বীকার করল বেজিং

রাজ্য কর্মসমিতির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে জায়গা পেয়েছেন বীরভূম জেলায় বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল, রয়েছেন মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রমুখ।

এছাড়া রাজ্য কর্মসমিতির সদস্য হয়েছেন বসিরহাটের প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। রয়েছেন, দমদমের প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত তপন শিকদারের ভাইপো সৌরভ শিকদার। বিজেপিতে যোগদান করেই রাজ্য কর্মসমিতির সদস্যপদ পেয়েছেন জ্যোতির্ময়ী শিকদার।

আর বাকি সকলের চক্ষু ধোলাই করার জন্য মতোই একটা জায়গা জায়গা দেওয়া হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এটা পুনর্বাসন মাত্র, আখেরে এই পদের কোনও গুরুত্বই নেই। শোভন বিজেপিতে আছেন, সেটা বোঝানোর জন্যই এই পদ।

আরও পড়ুন- নাকের বদলে নরুণ নিয়েই দিলীপের নেতৃত্বে কাজ করতে হবে মুকুল-শোভনকে

তবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২৩০ জনের প্রকাশিত তালিকায় নাম নেই রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়ের। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে! কিছুদিন আগে পর্যন্ত যিনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থীর জোরালো দাবিদার ছিলেন, সেই তথাগত রায় কিনা ব্রাত্য! নুন্যতম রাজ্য কমিটিতেও জায়গা পেলেন না তিনি? প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই!

Previous articleনাকের বদলে নরুণ নিয়েই দিলীপের নেতৃত্বে কাজ করতে হবে মুকুল-শোভনকে
Next articleছ’মাস পর শর্তসাপেক্ষে খুলছে স্কুল, নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের