নাকের বদলে নরুণ নিয়েই দিলীপের নেতৃত্বে কাজ করতে হবে মুকুল-শোভনকে

নাকের বদলে নরুণ! খবর রটেছিল তিনি নাকি রাজ্য বিজেপির হাল ধরবেন। ‘ঊনিশে হাফ, আর একুশের সাফ’ করার প্রধান কাণ্ডারী হবেন! দিন তিনেক তাঁকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী ঘুরে বেড়ালেন। গুরুত্ব বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টার নিট ফল কী! শেষ পর্যন্ত দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।

শুধু কী তাই! কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, রাজ্যের চারটি দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়ও সেই রাজ্য কমিটির বড় পদ থেকে বহু দূরে। অশোভনীয় ভাবে তিনি রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য! শোভন বান্ধবী বৈশাখী দিন দুয়েক আগে প্রাক্তন মেয়রকে কার্যত রাজ্যের সবচেয়ে প্রাজ্ঞ রাজনীতিক আখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২৫০ জনের বর্ধিত রাজ্য কমিটির কোথাও অধ্যাপিকা বৈশাখীকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া গেল না।

আরও পড়ুন- হোমগার্ড থেকে আশাকর্মী- অবসরের পর 3 লাখ টাকা, সাংবাদিকদের বোনাস: মুখ্যমন্ত্রী

বিজেপির বর্ধিত রাজ্য কমিটি প্রকাশ্যে এনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে বলেছেন, সকলকে সুযোগ দেওয়া হলো। এখন যাঁরা এলেন তাঁরা পারফর্ম করে দেখান। তবে দলে এখনও কো-অপ্ট করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আজকের ঘোষণার মধ্য দিয়ে দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিলেন আসলে রাজ্যে শেষ কথা তিনিই বলবেন। কেন্দ্রের নেতারাও তাঁর উপরেই ভরসা করছেন। একুশের ভোটে সেনাপতি দিলীপ ঘোষই। আশপাশ থেকে যারা সিংহাসনে উঁকিঝুঁকি মারছিলেন, তাঁদের বাপি বাড়ি যা স্টাইলে ছক্কা মেরে মাঠের বাইরে ফেললেন দিলীপ।

লক্ষ্যণীয়, রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। তৃণমূলের ছাত্র নেতা থেকে চলচ্চিত্র পরিচালক হয়ে ফের সামনে পিছনে প্রাইভেট সিকিউরিটি নিয়ে ঘোরাফেরা করা শঙ্কুদেব পণ্ডাও আমন্ত্রিতদের ভিড়ে রয়েছে। রয়েছেন ফোন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শমীক ভট্টাচার্যও। নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন উঠবেই, এই বিরাট কমিটিতে কেন মাত্র দুজন সংখ্যালঘু! রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হলেও আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও।

রাজ্য কমিটিতে তিন ধরণের আমন্ত্রিত সদস্য এসেছেন, এক স্থায়ী আমন্ত্রিত, দুই বিশেষ আমন্ত্রিত ও তিন, তিন সদস্যের স্থায়ী আমন্ত্রিত কার্যকর্তা। এই কমিটি ঘোষণা করে দিলীপ দীর্ঘদিনের জল্পনা কার্যত বন্ধ করলেন। যাঁরা দলে থেকেও পদাধিকার না পাওয়ার কারণে ঘোঁট পাকাচ্ছিলেন, তাদের কমিটিতে এনে দিলীপ বুঝিয়ে দিলেন এবার আর আমি জানি না বলা যাবে না। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। নইলে! দিলীপ ঘোষের গলায় অনেকটা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর স্লোগান… পারফর্ম অর পেরিস।

আরও পড়ুন- অপহৃত পাঁচ ভারতীয় চিনে আছে বলে পরোক্ষে স্বীকার করল বেজিং

আরও পড়ুন- পরিযায়ী পরিবারের কচিকাঁচাদের পড়িয়ে রোল মডেল পুলিশ-স্যার

Previous articleঅপহৃত পাঁচ ভারতীয় চিনে আছে বলে পরোক্ষে স্বীকার করল বেজিং
Next articleবিজেপির রাজ্য কমিটিতে ব্রাত্য তথাগত! “হেভিওয়েট” শোভন তালিকার ৬৩ নম্বরে