জঙ্গি ফতোয়া অসমে করা যাবে না দুর্গাপুজো

একদিকে দুর্গাপুজো বন্ধর জঙ্গি ফতোয়া, অন্য দিকে, ফের এনআরসি তালিকা যাচাইয়ের সরকারি আর্জি। দুইয়ের জেরে অসমে চরম আতঙ্কে বাঙালিরা।

অসমের জঙ্গি সংগঠন আলফা (স্বাধীন) হুমকি দিয়েছে, দুর্গাপুজো হবে না। কোভিড আবহে অসমের সবচেয়ে বড় উত্সব বিহু হয়েছে নমো নমো করে। তাই ক্ষমতাসীম অসম সরকারকে অতি হিন্দু হয়ে দু্র্গাপুজো করাও চলবে না। অন্য দিকে, অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলছে, এনআরসি তালিকা ফের যাচাইয়ের দাবিতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ।অসমের বড় উত্সব বিহু হলেও, দুর্গাপুজো নিয়ে কারও কোনও অসুবিধে নেই। অসমের বিহুতে যেমন এতদিন অংশ নিয়েছেন বাঙালিরা, ঠিক তেমনই মা দুর্গার আরাধনাতেও ভক্তিভরে পুজো দেন অসমিয়ারা।এই পরিস্থিতিতে জঙ্গি সংগঠনের ফতোয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে।

আরও পড়ুন : আপনি কি মেট্রো রেলের যাত্রী? তাহলে এই প্রতিবেদন আপনাকে পড়তেই হবে!

অসম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির তরফে জঙ্গি গোষ্ঠী ও সরকারের এনআরসি তালিকা যাচাইয়ের আর্জি দুই সিদ্ধান্তেরই নিন্দে করেছে। তাদের কথায়, বাঙালির সর্বনাশ করার চেষ্টা হচ্ছে।

পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধানী আলফা (স্বাধীন) জঙ্গি গোষ্ঠী অসমের রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের পুতুল বলে কটাক্ষ করেছে।বলা হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। অতি হিন্দু হওয়ার তাগিদে দুর্গাপুজোয় অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : টাকা দিলে নম্বর বাড়ানোর ‘আশ্বাস’, অভিযোগ বিভাগীয় প্রধান-সহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল জানিয়েছেন, এনআরসি তালিকা থেকে আরও নাম বাদ যাবে। তালিকা ফের যাচাইয়ের দাবিতে তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানাবে।অসম সরকারের মনোভাবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ অসম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতি। তাঁদের কথায়, এনআরসি নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ভোগান্তি হয়েছে। বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন।চূড়ান্ত খসড়া ভুক্ত ২৭ শতাংশ নামের তথ্য ফের যাচাই হয়েছে।এরপর সরকার ফের সুপ্রিম কোর্টে গেলে বিপাকে পড়বেন সাধারণ মানুষ। ফের শুরু হবে আতঙ্ক।সরকার বাঙালি হঠাতেই এই সমস্ত করার পরিকল্পনা করছে।

আরও পড়ুন : চিতায় দেহ, মুখাগ্নির আগে সন্তান জানলেন মৃত তাঁর বাবাই নন

কারও মতে, জঙ্গি গোষ্ঠী ফতোয়া কড়াভাবে দমন করা উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট করে দুর্গাপুজো হলে আপত্তি হওয়া উচিত নয়।এদিকে, এনআরসি-র নামে সরকার ফের আদালতে গেলে বাঙালি ছাড়াও অসমে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ফের দুর্ভোগের শিকার হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Previous articleBREAKING: চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হচ্ছে JEE ফলাফল! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর
Next articleগ্রিলস-এর সঙ্গে দুঃসাহসিক অভিযানে অক্ষয়, হিংস্র প্রাণীদের সঙ্গে জঙ্গলে খিলাড়ি