হাসিনা সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা, বাড়ছে অপরাধ

খায়রুল আলম, ঢাকা

মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গারা ক্রমশ দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকিতে পরিণত হচ্ছে। দেশের পর্যটনের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজার সৈকত এলাকা এবং পার্বত্য তিন জেলাও রোহিঙ্গাদের অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে। আর টেকনাফ ও উখিয়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পগুলো এবং এর আশপাশে এলাকাগুলোতে অপরাধের আখড়া হয়ে উঠছে।
বর্তমানে কক্সবাজারের উপকূলীয় শরণার্থী শিবিরগুলোতে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। ইয়াবা, মানব পাচার ও হাটবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাড়ছে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা। চলছে অস্ত্রের মহড়াও। বাড়ছে খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধও।
দিন যত যাচ্ছে ততই অবনতির দিকে যাচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি রোহিঙ্গা শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। মানবতার দোহাই দিয়ে যাদের আশ্রয় দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা, সেসব রোহিঙ্গারাই এখন তাদের কাছে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়াবা পাচার, ডাকাতি-চুরি ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে গত দুই বছরে চার শতাধিকের বেশি মামলা হয়েছে। এসব মামলার আসামি হাজারো রোহিঙ্গা। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী দিনগুলো নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয়রা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছরে রোহিঙ্গা শিবিরে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা। এছাড়া ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও ৩২ রোহিঙ্গা নিহতের কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের প্রবেশের পর ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, চুরি, মাদক ও মানবপাচারসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৭১টি। যার মধ্যে মাদক মামলা ২০৮, হত্যা মামলা ৪৩ ও নারী সংক্রান্ত মামলা ৩১ টি। এসব মামলায় আসামি ১০৮৮ রোহিঙ্গা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দিন দিন রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি তারা চুরি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। শিবির থেকে বেরিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি হিসাবের বাইরে আরও অন্ততপক্ষে পাঁচ লাখ বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, গত তিন বছরে প্রায় ৭৬ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মে নিয়েছে। ফলে সরকারি হিসাবও বেড়ে যাওয়ার কথা। স্থানীয়রা এবং কক্সবাজারের স্থানীয় প্রতিনিধি ও সমাজকর্মীরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা সবসময় ভয়ে থাকে। ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডও চলে দেদার। এখানে স্থানীয়রাই সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে। দিনে-দুপুরে ছিনতাই হয়। রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের অনেকের সহযোগিতায় পাহাড় কেটে রাতারাতি বসতি গড়ে তুলছে। আবার অনেক এনজিও তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য আর্থিক সহায়তা করে থাকে।
এদিকে সম্প্রতি জার্মানির সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শান্তি বিঘ্নিত করতে রোহিঙ্গাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মাদক পাচারের পাশাপাশি জঙ্গি কার্যকলাপেও যুক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে জেএমবি বা জামাআতুল মুজাহিদীন রোহিঙ্গাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণে মদত দিচ্ছে। পাক মদদপুষ্ট জেএমবির কারণেই বাংলাদেশেও আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যায়। সব মিলিয়ে বাড়ছে জঙ্গি তৎপরতা। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় জেএমবির যোগসাজশের বিষয়টি। পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৯৯ জন হিন্দু মহিলা, পুরুষ ও শিশু হত্যা করে আরসা। ২০১৭ সালের আগস্টেও হিন্দু গ্রামবাসীদের ওপর আরসার হামলার ফলে হিন্দু ও অন্যান্য জাতিগত সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে মায়ানমারে।

কক্সবাজারে শুধু মাদক চোরাকারবার বা অন্যান্য অপরাধের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই রোহিঙ্গারা। বিদেশি মদদে তারা এখন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত। জানুয়ারিতেই জনা চল্লিশ রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরের মধ্যেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয় জেএমবি। ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান কফি শপে আত্মঘাতী হামলার মধ্য দিয়ে জেএমবি গোটা দুনিয়ার নজরে আসে। জার্মান সংবাদ সংস্থার খবর, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও মালয়েশিয়া থেকে ১১৭ হাজার ডলার অনুদান পেয়েছিল জেএমবি। সে অর্থেই ৪০ জন রোহিঙ্গাকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর পুরোটাই হয় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নজরদারিতে।
স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমার নাগরিকের (রোহিঙ্গা) বর্তমান সংখ্যা হচ্ছে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব গত ২৮ মে (২০২০) পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে সাত লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন রোহিঙ্গা নাগরিক মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও আশ্রয়প্রার্থী শিশু রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৪১ জন। আশ্রয় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিবছর জন্ম নিচ্ছে ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু। প্রতিবছর অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছে ৩৫ হাজারের বেশি নারী। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার একর ভূমি ব্যবহার হচ্ছে। শুধুমাত্র নতুন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ক্যাম্পের জন্য সাড়ে ছয় হাজার একর ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কবে হবে জানে না কেউ। উপরন্তু, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট নানা সংকট ও সমস্যা জটিল আকার ধারণ করছে। মাদক ও মানবপাচার, ডাকাতি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। তাদেরকে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে সরকারের পক্ষ থেকেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা ও নজরদারিতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। পুলিশের নিয়মিত ইউনিটগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে নিরাপত্তায় কাজ করছেন। শুধুমাত্র রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করতে আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) একটি ব্যাটালিয়ন সৃষ্টি করে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কক্সবাজার এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের হাতিয়ার ভাষানচরে পাঠানোরও চেষ্টা চলছে।

দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী সেলের কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে উখিয়ার কুতুপালং-বালুখালির নতুন এলাকাকে ২২টি ক্যাম্পে বিভক্ত করা হয়েছে। এছাড়া উখিয়ার হাকিমপাড়া, জামতলী ও পুটিবুনিয়া এবং টেকনাফের কেরনতলী, উনছিপ্রাং, আলীখালী, লেদা, জাদিমুরা, নয়াপাড়া শালবন ও শামলাপুরকেও পৃথক পৃথক ক্যাম্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে সব মিলিয়ে ক্যাম্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪টি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, রোহিঙ্গাদের আইনি সহায়তাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকাগুলোতে একাধিক পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও আর্মড পুলিশের একটি নতুন ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।

মাদক ও মানবপাচার, জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ‘ইমারজেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় আর্মড পুলিশের ১৪তম ব্যাটালিয়নকে সেখানে মোতায়েন করা হয়। এই ব্যাটালিয়নে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এছাড়াও আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গারা যেন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য ওই এলাকায় তারকাঁটার বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে যেকোনও ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ ও আইনি সহায়তার জন্য ‘কুইক রেসপন্স টিমে’র কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর কাজও চলছে। ২০২১ সালের মধ্যে ৩৩৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ইমারজেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৪ কোটি টাকা বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়ার কথা। বাকি টাকা ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার।
রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ও জননিরাপত্তায় নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক ও আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর ছিদ্দীক জানান, ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস নিরসনে কাজ করছে সরকারের অনেকগুলো বিভাগ। জননিরাপত্তায় রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে বড় কাজটি হচ্ছে সেখানে ক্যাম্পগুলোর চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ।

বর্ষা ও করোনার কারণে কাজ কিছুটা ধীর গতিতে চললেও কাঁটাতারের বেড়ার কাজ ৪০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। আগামী শুকনো মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই এ কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া সেখানে যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নটি মোতায়েন করা হয়েছে, সেখানে এরইমধ্যে এক হাজার ৬০০ এর মতো সদস্য কাজ শুরু করেছেন। আরও সমপরিমাণ ফোর্স সেখানে যোগ দিতে যাবে শিগগিরই।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী সেলের প্রধান ও যুগ্ম সচিব শাহ্ রেজওয়ান হায়াত জানান, ‘রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে। আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য প্রায় সোয়া দুই লাখ শেল্টার (অস্থায়ী ঘর) নির্মাণ করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে খাদ্য, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা। কোভিড মোকাবিলায়ও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। ২৩২ জন ডাক্তার ও ২০৭৩ জন সেবাকর্মী ১১৬টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ২৮০ জন ডাক্তার ও নার্সকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের কাছে এখন সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। ওই সন্ত্রাসীদের কাছে সাধারণ রোহিঙ্গারা নিরাপদ নয়। প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত এখানে একটি স্থায়ী থানা স্থাপন করা দরকার।’

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, আগে রোহিঙ্গারা খাবারসহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতো। এখন তাদের খাবার ও সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য কোথাও দৌড়াতে হয়না। এনজিওরা তাদের ঘরে ঘরে সব প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছে। কোনো কাজ ও সংসারের পিছুটান না থাকায় রোহিঙ্গারা নানা অপকর্মে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ইয়াবা রাজ্য বানিয়েছে। ধর্ষণ, খুন, হামলা তাদের নিয়মিত কাজে পরিণত হয়েছে। তাদের কারণে স্থানীয়রা এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি ও আতংকের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয়রা।

Previous articleBreaking: সত্যজিৎ খুনে মুকুলের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য পুলিশের হাতে, অথচ চার্জশিটে বাদ!
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ