যাত্রী হাতেগোনা, নিউ নর্মালে মাছি তাড়াচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো

দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা, বিধি-নিষেধ সতর্কীকরণের পর মেট্রো ছুটলেও লোক নেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে। যাত্রী সংখ্যা হাতে গোনা। তার জেরেই খানিক চিন্তায় মেট্রো কর্তারা।

গত সোমবার থেকে কলকাতায় চালু হয়েছিল মেট্রো পরিষেবা। নোয়াপাড়া-গড়িয়া, দমদম-কবি সুভাষ রুটের শুরু থেকেই যাত্রী সংখ্যা খারাপ নয়। কিন্তু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় হাতে গোনা যাত্রী ফের প্রমাণ করল, এখন তার জনপ্রিয়তা নেই। গত দু’দিনে গড়ে ১০০-এর কম যাত্রীতে রীতিমতো চিন্তায় কর্তৃপক্ষ। সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম, ছ’টি স্টেশনের এই মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা হাতেগোনা। তা দেখেই কর্তৃপক্ষ এবার ২০ মিনিটের বদলে আধ ঘণ্টা অন্তর মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দুশ্চিন্তা। কারণ, ফেব্রুয়ারিতে শুরু থেকেই এই মেট্রো লাভের মুখ দেখেনি। মার্চে লকডাউনে মেট্রো বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ফের যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু যাত্রী যে হচ্ছেই না।

আরও পড়ুন : ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ জোড়া ক্লোন ট্রেন, বাংলার ভাগ্যে শুধু দু’টি!

যাত্রী কমের কারণ পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, নতুন এই মেট্রো পরিষেবা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাছাড়া ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো স্টেশন গুলো খুব কাছাকাছি।তাছাড়া ৪ কিলেমিটার মেট্রো রাস্তায় ঠিকমতো টার্মিনাল নেই। যা যাত্রীদের পক্ষে অসুবিধেজনক।

তাছাড়া, এখানকার লোকজন বাস, টোটো, অটোতে যেতেই বেশি অভ্যস্ত। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো মূলত আইটি সেক্টরের কর্মীদের সুবিধার কথা ভেবে তৈরি হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইটি কর্মীরা বেশিরভাগই বাড়ি থেকে কাজ করছেন। আর সল্টলেক এলাকার লোকজনের অধিকাংশেরই নিজস্ব গাড়ি আছে। যেহেতু এখনও ট্রেন বন্ধ, তাই ওইটুকু রাস্তা যাওয়ার জন্য কেউ আর মেট্রো চাপতে চাইছেন না। করুণাময়ী এলাকার অফিসকর্মীরা ব্যক্তিগত গাড়ি বা বাস ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি ‘পথদিশা’ অ্যাপ ‘ইপাস’ নিয়ে হয়রানির অভিযোগ এসেছে। যার জেরে আপাতত যাত্রী সংখ্যা কম বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্য দিকে, পুজোর আগেই শিয়ালদা সংলগ্ন ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন চালু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের তরফে জানা গিয়েছে, কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে ট্রায়ালেরর ব্যবস্থা করে ফুলবাগান মেট্রো পরিষেবা শুরু করা যায়। এই পরিষেবা চালু হলে শিয়ালদার যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হবে। মেট্রোর আয় বাড়বে বলেই মনে করছেন কর্তারা।

Previous articleসারেগামাপা-য় বিচারকের আসনে মিকা, ক্ষুব্ধ সংগীতশিল্পীরা
Next articleবেআইনি খাদান নিয়ে কল্যাণ-অপরূপা তরজায় সরগরম হুগলি