জীবিতকালে এড়িয়ে গিয়েছেন, এবার ‘নায়ক’ চারু মজুমদার

এ প্রজন্মের কতজন তাঁর নাম শুনেছেন বা তাঁর
সম্পর্কে জানেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে৷ অবশ্য তাঁর কালেও এই নাম অনেকে শুনতেই চাইতেন না৷ সে সময়েও বেশি লোকজন তাঁকে চিনতেন না। কারণ একটাই, এ দেশে ওই নামটাই তখন নিষিদ্ধ। ওই নাম নিয়ে আলোচনা করলে রাতে বাড়িতে পুলিশ আসতো৷ ১৯৭২ সালের ২৮ জুলাই তিনি প্রয়াত হয়েছেন, তবু যেন আজও তাঁর নাম মুখে আনতে দু’মিনিট বেশি সময় নেন অনেকেই।

আজও যেন এক নিষিদ্ধ নাম চারু মজুমদার৷

ব্যক্তি বা রাজনৈতিক জীবনে চারু মজুমদার কখনই নায়ক হতে চাননি, বরং তিনি কৃষক – শ্রমিকদের নায়কের আসনে বসানোর জন্য লড়াই করে গিয়েছেন৷ এবার সেই নকশালপন্থী নেতা চারু মজুমদার’ই ‘নায়ক’৷ নাট্যকার চন্দন সেনের বেনজির উদ্যোগ, একটি নাটক, নাম ‘চারু-লীলা দ্রোহকাল’।

রাজনৈতিক জীবনের সহযোদ্ধা লীলা সেনগুপ্ত’কেই একদিনের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেছিলেন চারু মজুমদার৷ কেমন ছিলো চারু-লীলার দাম্পত্যকাল ? অচেনা চারু মজুমদারকেই এবার সামনে নিয়ে আসছেন চন্দন সেন৷ নাট্যকারের কথায়, এই মানুষটিকে নতুন আঙ্গিকে চেনাবে “চারু-লীলা দ্রোহকাল”। ‘প্রেমিক’ চারু মজুমদার সকলের অচেনা, অজানা৷ এই নাটক সেই অচেনাকেই চেনাবে’’৷

এই উদ্যোগে প্রথম দিন থেকেই নাট্যকারের সঙ্গী আরও দুই বিখ্যাত চরিত্র, পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার। মহামারির আতঙ্ক দূর হলেই চারুবাবুকে মঞ্চে নিয়ে আসবেন বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়৷

কৌতূহল সর্বত্র, তাহলে কে হচ্ছেন চারুবাবু ?

চন্দন সেন এবং বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, দু’জনেরই প্রথম এবং শেষ পছন্দ
দেবশঙ্কর হালদার। তিনিই পারবেন চারু মজুমদারকে ফুটিয়ে তুলতে। চারুর বিপরীতে লীলা সেনগুপ্ত কে হবেন? বিপ্লবের প্রথম পছন্দ তানিয়া মাইতি। নাটক, গানবাজনার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনও দিন যাঁকে মঞ্চে নাটকের মুখ্য চরিত্রে দেখা যায়নি।

আর দেবশঙ্কর জানিয়েছেন, ‘‘আমি শুরু থেকে ‘চারু-লীলা দ্রোহকাল’-এর সঙ্গে জড়িত নিতান্তই এক নাট্যকর্মী হিসেবে। যদি আমিই ‘চারু মজুমদার’ হই তখন পরিচালক যেমন বলেছেন, ধাপে ধাপে এগোব। এখন এর থেকে বেশি আর কিই বা বলি ?

আরও পড়ুন- সেনাদের জলের প্রয়োজনে ১০ হাজার বছরের পুরনো লেকের খোঁজ

Previous articleসেনাদের জলের প্রয়োজনে ১০ হাজার বছরের পুরনো লেকের খোঁজ
Next articleরাজ আর শুভশ্রীর ছেলেকে নিয়ে চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি হচ্ছে