সৌদি আরবে মিলল মানুষের ১ লক্ষ বছরেরও পুরনো  পায়ের ছাপ!

সৌদি আরবের উত্তরে রুক্ষ নেফুদ মরুভূমিতে মিলল এক লক্ষ ২০ হাজার বছরের পুরনো পায়ের ছাপ। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত তা মানুষেরই। আর এই ছাপের সূত্র ধরে বিবর্তনের ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য সামনে আসবে বলেও আশাবাদী ঐতিহাসিক-গবেষকরা।

মনে হতেই পারে, রুক্ষ মরুভূমিতে কীভাবে এত প্রাচীন পায়ের ছাপ রয়ে গিয়েছে? গবেষকরা বলছেন, এখন যেখানে মরুভূমি সেখানেই লক্ষ লক্ষ বছর আগে ছিল তৃণভূমি  ও অগভীর হ্রগ। সেখানেই জল খেতে আসত অসংখ্য প্রাণী। জলাশয় ও শিকারের সুবিধার জন্যই সে সময় মানুষ ওই হ্রদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতো। এত নিজেদের জলের সমস্যা যেমন মিটত তেমনই, জল খেতে আসা প্রাণী শিকার সহজ হত।

আরও পড়ুন : ধনকুবের ‘চাক ফিনি’, জীবদ্দশায় বিলিয়ে দিলেন ৮ মিলিয়ন ডলার!

সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে বহু প্রাচীন মানুষের পায়ের ছাপের কথা প্রকাশ হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেসময় মানুষরা বড় বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী শিকার করত। সুবিধার জন্যই তারা জলের ধারে থাকত। বলা হয়েছে, ওই মরুভূমির জায়গায় আগে ছিল নদী, জলাশয়, বিস্তীর্ণ তৃণভূমি। আর শুধু মানুষের পায়ের ছাপই নয়,  সেখানে অসংখ্য হাতির পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। ছিল আরও ছোট বড় প্রাণীর চিহ্ন।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইকোলজির গবেষক ম্যাথু স্টুয়ার্ট ২০১৭ সাল থেকে এ নিয়ে গবেষণা করছেন। আলাথা নামে একটি প্রাচীন হ্রদ সেখানে ছিল। সেখানেই তিনি ওই পায়ের ছাপ পেয়েছেন। এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। আপাতত নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে পায়ের ছাপ টি ১ লক্ষ বছরের পুরনো বলে। আর পায়ের ছাপ দেখে অনুমান তা অপেক্ষাকৃত আধুনিক মানুষের।

স্টুয়ার্টের কথায়, অনুমান করা হত আদিমকালে মানুষ দক্ষিণ গ্রিস হয়ে ইউরেশিয়ায় যাতায়াত করত। তারা উপকূল ধরে যেত। তবে হ্রদে পায়ের ছাপ ও নানা চিহ্ন বলছে শুধু উপকূল নয়, নদী পথ অনুসরণ করেও মানুষ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ত। শিকারের সুবিধার জন্যই তারা তৃণভূমি ও জলের উৎসের কাছে থাকত।

সৌদি আরবের প্রত্নতাত্ত্বিক ডক্টর জাসির-এর মতে প্রাচীন আরবের যে মানুষ ছিল এই ছাপ তার প্রমাণ।

Previous articleবিশ্বভারতীকাণ্ডে ৪ সদস্যের কমিটি গড়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হাইকোর্টের
Next articleমুক্তিপণ না পেয়ে তৃণমূল নেতার ৯ বছরের ছেলেকে খুন! গ্রেফতার ৩